এমরান মাহমুদ প্রত্যয়,নওগাঁ
নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলোর যখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিঃশ্বাস উঠেছে, ঠিক তখনই সরকারীভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চালিয়ে আসছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের নওগাঁর আত্রাই উপজেলার নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো এই সুবিধা পাচ্ছে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও স্বস্তি ফিরেছে খেটে-খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের মাঝে। তবে এই টিসিবি পন্য ধারাবাহিক ভাবে মাসে একবার নয় একাধিকবার প্রদান করতে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সুবিধাভোগীরা।
বুধবার (৩০ নভেম্বর ) সকাল ১০ টায় উপজেলার ১নং সাহাগোলা ইউনিয়ন চত্বরে সাহাগোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.মামুনুর রশীদ এর সভাপতিত্বে শুরু হয় টিসিবি বিতরণের কার্যক্রম।
জানা গেছে, আত্রাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ধারাবাহিক ভাবে নায্য মূল্যে টিসিবির পন্য বিক্রি কার্যক্রম চলছে। টিসিবির আওতায় সরকার অনুমোদিত ডিলার শ্রী সুপবিত্র ঘোষ'র মাধ্যমে সঠিক তদারকিতে উপজেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া কার্ডধারী পরিবার ৪০৫ টাকার প্যাকেজে ২ লিটার সয়াবিন তৈল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ১ কেজি করে চিনি পাচ্ছেন।
এ বিষয়ে শাহাগোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বলেন,আমি চেষ্টা করছি চেয়ারম্যান হিসাবে এলাকায় সরকার নির্ধারিত অনুদান গুলো ন্যায় সংগত ভাবে সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে বিতরণ করতে। সরকারের সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির মাধ্যমে এই পন্য বিক্রির কার্যক্রম সত্যিই এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমার এ ইউনিয়নে একজন করে ট্যাগ অফিসারের মাধ্যমে কার্ডধারী পরিবারের মাঝে এই পন্য বিক্রি করা হচ্ছে। টিসিবির পন্য যাতে কোন ভাবেই কালোবাজারে বিক্রি করা না হয় এবং ওজনে কম দেয়া না হয় সেই বিষয়ে ডিলারসহ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিদের কঠোর ভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। যদি কারো বিরুদ্ধে টিসিবি পন্য বিক্রির বিষয়ে কোন প্রকারের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তা তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।