এমরান মাহমুদ প্রত্যয়,নিজস্ব প্রতিবেদক: নওগাঁ জেলার খুচরা বাজারে আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে হঠাৎ করেই বেসামাল হয়ে উঠেছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। বিশেষ করে দু-একদিনের ব্যবধানে আগুন লেগেছে কাঁচা মরিচের দামে। বর্তমানে খোলা বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩শত টাকা কেজিতে।
আবার আদার দামেও হঠাৎ করেই আগুন লেগেছে। প্রতি কেজি আদা প্রকার ভেদে ৪০০-৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে রসুনের প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ১০-২০টাকা করে। চিনির দামও সরকারের বেধে দেয়া দামের চেয়ে ১০-১৫টাকা কেজিতে বেশি বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে মসলা জাতীয় অন্যান্য পণ্যের দাম ঠিক থাকলেও জিরার দাম ৭শত টাকা কেজি থেকে বেড়ে বর্তমানে ১হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবী কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে বড় বড় ব্যবসায়ীরা একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পণ্যের পর্যাপ্ত পরিমাণ উৎপাদন থাকলেও বেশি লাভের আশায় বাজারে কাঁচা মরিচ, আদা, রসুনসহ অন্যান্য পণ্যের সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে দাম বেড়ে দিয়েছে। যার ফলে বাজারে ক্রেতা নেই বললেই চলে। পাইকারী বাজারে আমরা বেশি দামে কিনছি তাই খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। তবে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই এমন সময়ে কাঁচা মরিচ, আদা, রসুনসহ অন্যান্য কাঁচা পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। ঈদকে সামনে রেখে এটি সিন্ডিকেট চক্রের একটি কারসাজিমাত্র।
অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন ঈদের আগের কয়েকটি দিন যদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হতো তাহলে এতো অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি পেতো না। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলেও কাঁচা মরিচ, আদা, রসুনের দাম হঠাৎ করেই আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। এটি কেবল আমাদের বাংলাদেশেই সম্ভব। এদিকে বাজারে এসে নাভিশ্বাসে পড়তে হচ্ছে নিম্ম আয়ের, খেটে খাওয়া ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের।
তাদের দাবী বাজারে আসলে চোখে সরষের ফুল দেখতে হয়। তালিকা ছোট করতে করতে আর ছোট করার কোন জায়গা নেই। দ্রুতই কঠোর মনিটরিং এর মাধ্যমে বাজারদর স্বাভাবিকের মধ্যে আনতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছে সাধারণ মানুষরা।