প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে একটানা ক্ষমতায় আছি। এ জন্য দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের তালিকায় নাম লেখাবে বাংলাদেশ। উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য গতি কেউ থামাতে পারবে না।’১৫ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর মিরপুরে সংস্থাটির ট্রেনিং কমপ্লেক্সে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ‘দুর্ঘটনা-দুর্যোগ হ্রাস করি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ি’ প্রতিপাদ্যে এবারের ফায়ার সার্ভিস সপ্তাহ উদযাপিত হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমাদের উন্নয়নের গতি কিছুটা হলেও ধীর হয়ে গেছে। বিশ্বের নানা দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে। আমাদের এখন থেকে মন্দা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। বিশ্ব মন্দার ধাক্কা যেন আমাদের ওপর না লাগে এ জন্য একযোগে কাজ করতে হবে। আমাদের আগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। আমরা এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। ’
ফায়ার সার্ভিসের জন্য নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অগ্নি বা যেকোনো দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস সবার আগে ছুটে যায়। এ বাহিনীকে তাই যুগপোযোগী করা দারকার। আমরা সেই পদক্ষেপ নিয়েছি। সংস্থাটি যেন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে রূপ নেয়, সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। ’তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন করে দিচ্ছি। বাহিনীকে শক্তিশালী করতে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের পাশাপাশি তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ১৮৪ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাকে বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জনবল ৬ হাজার থেকে ১৮ হাজার ৪৪৩ জনে উন্নীত করেছি। ’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘এক সময় বহুতল ভবনে ফায়ার সার্ভিস অগ্নি নির্বাপণে কাজ করতে পারতো না। আমরা সেই অসুবিধা দূর করতে ৬৮ মিটার লেদারের ৫টি গাড়ি কিনেছি। নদী পথে তাদের কাজের সক্ষমতা বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ’ফায়ার ফাইটারদের ট্রেনিংয়ে সব জেলায় ৫ একর এবং ঢাকা জেলায় ১০ একর করে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধার দিকেও আমরা দৃষ্টি দিয়েছি। যারা মানুষের জীবন রক্ষায় কাজ করছে, তাদের জীবন সুন্দর করা আমাদের দায়িত্ব। তাদের সম্মানি ও পদক বাড়ানো হয়েছে। ভাতা বাড়ানো হয়েছে। তাদের ২০ কোটি টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে। আমার পক্ষ থেকে আরও ২০ কোটি টাকা অনুদান দেবো। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের উন্নয়নে যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে, তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।