লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়ন এর সতির পাড় (বুড়িরহাট) স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে তিন দিন ধরে অনশন করছেন দুই সন্তানের জননী রত্না রানী । পরকীয়া প্রেমিক সাবেক ইউ পি সদস্য হেমন্ত বাবুর দ্বিতীয় পুত্র ধরনী কান্ত মন্টু তিন সন্তানের জনক।
কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়ন এর সতিরপাড় (বুড়ির হাট) গ্রামে সাবেক ইউ পি সদস্য হেমন্ত বাবুর বাড়িতে এ অনশন চলছে।
সরেজমিন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চন্দ্রপুর ইউনিয়নের সতির পাড় গ্রামে হেমন্ত বাবুর ছেলে ধরনী কান্ত রায় ও দুই সন্তানের জনক (৩৬)। তিনি পেশায় রাজ মিস্ত্রি কাজ করেন। রত্না রানী কে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে ও বিয়ের প্রবলন দেখিয়ে দীর্ঘ ১ বছর সম্পর্ক করে ও দৈহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এবং ২১/০১/২০২৩ রোজ শনিবার রাতে ৮-৯ টার দিকে বাড়ির পাসে দৈহিক মিলন অবস্থায় দুজন কে পাওয়া যায় মানুষেমানুষের কোলোহাল শুনে ধরনী কান্তো (মন্টু) পালিয়ে যায়।এর পর রত্না রানী রবিবার ২২/০১/২৩ইং সকালে পরকীয়া প্রেমিক ধরনী কান্তর বাড়ি চলে আসে।
দুই সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে এখন বিয়ের দাবিতে অনশনরত রত্না রানী অভিযোগ করেন, ১ বছর ধরে ধরনী কান্ত মন্টু বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছেন।
স্থানীয় ইউ পি সদস্য আবু সাঈদ জানান, দীর্ঘ ১ বছর সম্পর্ক সেটি স্বীকারক্তি পেয়েছি ১ বছর ধরে শারিরীক সম্পর্ক হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়ে বলে আমরা এলাকা বাসি সহ বিষয় টি সুন্দর সমাধান করার চেষ্টা করছি। সাবেক ইউ পি সদস্য হেমন্ত বাবু ও চন্দ্রপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম মোটা টাকার দিয়ে সমাধান করে মেয়েকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এলাকার সচেতন ব্যক্তি হতাশ হয়েছে। সবার দাবি ছিলো মেয়ের বিয়ে হবে ধরনী কান্তর সাথে।
হেমন্ত বাবুর বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থানরত মেয়ে জানান । তারা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং আমার অবিভাবকরা তাদের কাছে পাত্তা পাননি আমাকে বউ স্বীকৃতি না দিয়ে মারপিট ও নির্যাতন করছে। পুলিশের ভয় দেখাচ্ছেন, সমাধান না করলে পুলিশ কে দিবে। আমি নিরুপায় এ কেমন বিচার।
কালীগঞ্জ থানার অফির্সার ইনচার্জ এটি এম গোলাম রসুল জানান বিষয় টি জানা আছে সেখানে আমাদের এস আই গিয়েছিলো এবং বিষয় টির সত্যতা পেয়েছে।