ধর্ষণের কয়েকদিন পরেও, মেগুমি ওকানো বলছেন, তারা জানতেন যে ধর্ষণকারীর কোনো শাস্তি হবে না। যিনি ধর্ষিত হয়েছেন মেগুমি তাকে ‘তারা’ বলে উল্লেখ করেছেন। মেগুমি ধর্ষণকারীকে চিনতেন এবং তিনি জানতেন তাকে কোথায় পাওয়া যাবে। কিন্তু মেগুমি এও জানতেন যে, এ ঘটনায় কোনো মামলা হবে না। কারণ, যা ঘটেছে জাপানি কর্তৃপক্ষ তাকে ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করবে না।
একারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী ঘটনাটি পুলিশকে না জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। ‘যেহেতু আমি তার বিচার চাইতে পারবো না, তাই সে মুক্ত ও সহজ জীবন যাপন করবে। এটা আমার জন্য কষ্টকর,’ মেগুমি বলেন। তবে এতে হয়তো পরিবর্তন আসছে। জাপানি সংসদে বর্তমানে ঐতিহাসিক এক বিল নিয়ে আলোচনা চলছে যেখানে যৌন হামলার বিষয়ে বিদ্যমান আইন সংস্কারের বিষয়ে বিতর্ক হচ্ছে। এসব আইন গত এক শতাব্দীর ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।
এই বিলে বেশ কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় ও তাৎপর্যপূর্ণ যে পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে তা হলো- ধর্ষণের সংজ্ঞা। ধর্ষণের নতুন সংজ্ঞায় “জোরপূর্বক যৌন মিলন” কথাটির জায়গায় “সম্মতি-বিহীন যৌন মিলন” কথাটি বসানোর ব্যাপারে আইন-প্রণেতারা আলোচনা করছেন। এমন একটি সমাজে অনুমতির এই বিষয়টিকে আইনি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে যেখানে এই ধারণা খুব একটা পরিষ্কার নয়।
জাপানের বর্তমান আইনে যে যৌন মিলন “জোরপূর্বক” এবং “আক্রমণ অথবা ভয়-ভীতি প্রদর্শন” অথবা একজন ব্যক্তির “অচেতন অবস্থা অথবা প্রতিরোধের অক্ষমতার” সুযোগ নিয়ে করা হয় তাকে ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্যান্য অনেক দেশের আইনের সঙ্গে এখানেই জাপানি আইনের তফাৎ। অনেক দেশের আইনে সম্মতি ছাড়া যৌন মিলন অথবা যৌন সম্পর্ককে আরো বিস্তৃতভাবে ধর্ষণ হিসেবে ধরা হয়- যেখানে না মানে না।
টো গ্যালারি
ই-পেপার
নাইট মোড
আন্তর্জাতিক
ad
কেন ধর্ষণের সংজ্ঞা বদলে দিতে চাচ্ছে জাপান?
Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক
০৮ জুন ২০২৩, ০৩:২৫ পিএম | আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩, ০৩:২৫ পিএম
facebook sharing button
twitter sharing button
messenger sharing button
copy sharing button
sharethis sharing button
ধর্ষণের কয়েকদিন পরেও, মেগুমি ওকানো বলছেন, তারা জানতেন যে ধর্ষণকারীর কোনো শাস্তি হবে না। যিনি ধর্ষিত হয়েছেন মেগুমি তাকে ‘তারা’ বলে উল্লেখ করেছেন। মেগুমি ধর্ষণকারীকে চিনতেন এবং তিনি জানতেন তাকে কোথায় পাওয়া যাবে। কিন্তু মেগুমি এও জানতেন যে, এ ঘটনায় কোনো মামলা হবে না। কারণ, যা ঘটেছে জাপানি কর্তৃপক্ষ তাকে ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করবে না।
একারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী ঘটনাটি পুলিশকে না জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। ‘যেহেতু আমি তার বিচার চাইতে পারবো না, তাই সে মুক্ত ও সহজ জীবন যাপন করবে। এটা আমার জন্য কষ্টকর,’ মেগুমি বলেন। তবে এতে হয়তো পরিবর্তন আসছে। জাপানি সংসদে বর্তমানে ঐতিহাসিক এক বিল নিয়ে আলোচনা চলছে যেখানে যৌন হামলার বিষয়ে বিদ্যমান আইন সংস্কারের বিষয়ে বিতর্ক হচ্ছে। এসব আইন গত এক শতাব্দীর ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।
এই বিলে বেশ কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় ও তাৎপর্যপূর্ণ যে পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে তা হলো- ধর্ষণের সংজ্ঞা। ধর্ষণের নতুন সংজ্ঞায় “জোরপূর্বক যৌন মিলন” কথাটির জায়গায় “সম্মতি-বিহীন যৌন মিলন” কথাটি বসানোর ব্যাপারে আইন-প্রণেতারা আলোচনা করছেন। এমন একটি সমাজে অনুমতির এই বিষয়টিকে আইনি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে যেখানে এই ধারণা খুব একটা পরিষ্কার নয়।
জাপানের বর্তমান আইনে যে যৌন মিলন “জোরপূর্বক” এবং “আক্রমণ অথবা ভয়-ভীতি প্রদর্শন” অথবা একজন ব্যক্তির “অচেতন অবস্থা অথবা প্রতিরোধের অক্ষমতার” সুযোগ নিয়ে করা হয় তাকে ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্যান্য অনেক দেশের আইনের সঙ্গে এখানেই জাপানি আইনের তফাৎ। অনেক দেশের আইনে সম্মতি ছাড়া যৌন মিলন অথবা যৌন সম্পর্ককে আরো বিস্তৃতভাবে ধর্ষণ হিসেবে ধরা হয়- যেখানে না মানে না।
ধর্ষণ প্রতিরোধে যারা আন্দোলন করছেন তারা বলছেন জাপানের এই সঙ্কীর্ণ সংজ্ঞার কারণে আইনজীবী এবং বিচারকেরা এর আরো সঙ্কীর্ণ ব্যাখ্যা দিচ্ছেন যার ফলে ধর্ষণের বিচার সম্পন্ন করা অসম্ভব রকমের কঠিন হয়ে পড়েছে। এর ফলে এমন এক হতাশাজনক সংস্কৃতি গড়ে ওঠেছে যে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পরেও লোকেরা তা রিপোর্ট করা থেকেও বিরত থাকেন।
উদাহরণ হিসেবে টোকিওতে ২০১৪ সালের একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে: এক ব্যক্তি ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়েকে দেয়ালের সঙ্গে চেপে ধরে তার সঙ্গে যৌন মিলন করে। এসময় মেয়েটি তাকে বাধাও দিয়েছিল। কিন্তু পরে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে খালাস দেয়া হয়েছে। আদালতের আদেশে বলা হয়েছে ওই লোকটি যা করেছে সেটা ঠেকানো ওই মেয়েটির জন্য “খুব বেশি কঠিন ছিল না”। বিচারের সময় ওই মেয়েটিকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী হিসেবে দেখা হয়, কারণ জাপানে জাপানে কারো ১৩ বছর হলেই তিনি সম্মতি কিম্বা অসম্মতি জানাতে পারেন। বিশ্বের ধনী গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে এই বয়স-সীমা সবচেয়ে কম।
‘একেক বিচার প্রক্রিয়া ও সিদ্ধান্ত একেক রকমের হয়ে থাকে- কোনো কোনো ক্ষেত্রে সম্মতি ছাড়া যৌন মিলন করার বিষয়টি প্রমাণ করা গেলেও বিবাদীকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না কারণ সেখানে ‘আক্রমণ অথবা ভয়-ভীতি প্রদর্শনের’ তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরা সম্ভব হয় না,’ বলেন যৌন হামলার শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত একটি গ্রুপ স্প্রিং-এর একজন মুখপাত্র ইও তাদোকোরো।
আর একারণেই মেগুমি বলছেন যে সহপাঠী এক ছাত্রের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েও ছাত্রীটি ঘটনাটি রিপোর্ট করতে পুলিশের কাছে যান নি। মেগুমি বলছেন ওই দু’জন একসাথে টিভি দেখছিলেন। তখন তার একজন সহপাঠী মেগুমির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে এগিয়ে আসে। মেগুমি তখন তাকে “না” বলে দেন। তখন সে আক্রমণ করে। ওই দু’জন কিছুক্ষণ “ধ্বস্তাধস্তি” করেন, বলেন মেগুমি। একপর্যায়ে মেগুমি নিশ্চল হয়ে যান এবং বাধা দেওয়া বন্ধ করে দেন। অধিকার-আন্দোলনকারীরা বলছেন যৌন হামলা ঠেকাতে এধরনের আচরণ কখনো কখনো বর্তমান আইনে বিবেচনা করা হয় না।
এর কয়েকদিন পরে আইনের ছাত্রী মেগুমি পেনাল কোড এবং এসংক্রান্ত আইনের দৃষ্টান্তের বিষয়ে লেখাপড়া করেন এবং উপলব্ধি করেন যা কিছু হয়েছে সেটা আদালতে “আক্রমণ ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন” হিসেবে প্রমাণ করা যাবে না। তারা এও শুনেছেন যে যারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে ধর্ষণের জন্য বরঞ্চ তাদেরকেই দোষারোপ করা হয়েছে। এছাড়াও পরে তদন্তের সময় পুলিশ ও হাসপাতালের স্টাফদের দিক থেকে তারা এমন অসংবেদনশীল আচরণের শিকার হন যে তারা “দ্বিতীয়বার ধর্ষণের” শিকার হন।
“আমি এধরনের তদন্তের প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে চাইনি। কারণ বিচার পাওয়ার ব্যাপারে আমার আশা ছিল না। একারণে আমি পুলিশের কাছে যাই নি। আমি রিপোর্ট গ্রহণ করা হবে কি না সেবিষয়েও আমি নিশ্চিত ছিলাম না,” তিনি বলেন। মেগুমি বলেন, এর পরিবর্তে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়রানি সংক্রান্ত কাউন্সেলিং সেন্টারের কাছে গিয়েছিলেন যারা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখেছে এবং আক্রমণকারী ধর্ষণ করেছে বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। এবিষয়ে বিবিসির পক্ষ থেকে ওই সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা গোপনীয়তার কথা উল্লেখ করে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
তদন্ত-কাজ যখন শেষ হয়েছে, তার আগেই আক্রমণকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে ফেলেছেন- ফলে তাকে সাবধান করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো পরিণতি ভোগ করতে হয়নি, বলেন মেগুমি। “আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমি এমন কিছু করতে পারিনি যাতে ওই লোকটি তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হতে পারেন- একারণে আমি হতাশ হয়ে পড়ি,” বলেন তিনি।
মেগুমি একা নন। জাপানে এসংক্রান্ত যতো মামলা হয় তার মাত্র এক শতাংশ আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত ধর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই হার সাধারণ অপরাধের বিচারের হারের তুলনায় সামান্য কম। তবে এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য সাধারণ লোকজনের দাবি ক্রমশই বাড়ছে। জাপানে ২০১৯ সালে মাত্র এক মাসের মধ্যে একের পর এক চারটি যৌন হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষণকারীরা খালাস পেয়ে গেলে জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের তৈরি হয়। একটি ঘটনা ছিল ফুকোকা শহরে। এক ব্যক্তি মাতাল এক নারীর সঙ্গে যৌন মিলন করে। এই ঘটনা অন্যান্য কিছু দেশে যৌন হামলা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। আদালতে বলা হয় যে ওই নারী একটি রেস্তোরাঁতে গিয়ে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয় এমন এক মদপানের আসরে এই প্রথমবারের মতো যোগ দিয়েছিলেন।
রিপোর্টে বলা হয়, পুরুষটি বলেছেন তিনি ভেবেছিলেন এধরনের আসরে “পুরুষরা সহজেই যৌনকাজে লিপ্ত হতে পারে,” কারণ এধরনের আসর যৌন স্বাধীনতার ব্যাপারে সুপরিচিত, এবং যারা এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে তারাও তাকে বাধা দেননি। তিনি আরো ধরে নিয়েছিলেন যে ওই নারী তাকে সম্মতি দিয়েছেন কারণ যৌন মিলনের এক পর্যায়ে ওই নারী তার চোখ খুলেছেন এবং তিনি “কিছু আওয়াজ” করেছেন।
নাগোয়ার আরেকটি ঘটনা যেখানে একজন পিতা তার কিশোরী কন্যার সঙ্গে বহু বছর ধরে যৌন সম্পর্ক করে গেছেন, তাতে মেয়ের ওপর পিতার “পূর্ণ আধিপত্য” নিয়ে আদালতের সন্দেহ ছিল, কারণ মেয়েটির তার পিতার পছন্দের বাইরে অন্য একটি স্কুল বেছে নিয়েছিল পড়ার জন্য। মনোরোগ চিকিৎসকরাও সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে মেয়েটি তার পিতাকে বাধা দেওয়ার ব্যাপারে মানসিকভাবে অক্ষম ছিল।
জনগণের ক্ষোভের কারণে এসব মামলায় পুনরায় বিচার হয়েছে এবং আক্রমণকারী দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এর পর যৌন হামলার শিকার নারীদের প্রতি সংহতি জানাতে দেশজুড়ে এক আন্দোলন শুরু হয় যা ফ্লাওয়ার ডেমো নামে পরিচিত। আন্দোলনকারীরা বলছেন এর পাশাপাশি #মি টু আন্দোলন এবং সাংবাদিক শিরোই ইতোর ঐতিহাসিক বিজয়ের পর যৌন হামলার বিচারের ব্যাপারে জাতীয় পর্যায়ে কথাবার্তা শুরু হয়। তখনই আইন সংস্কারের বিষয়টি সামনে চলে আসে। ধর্ষণের নতুন সংজ্ঞার অংশ হিসেবে নতুন আইনটিতে আটটি পরিস্থিতির কথা তুলে ধরা হয়েছে যেখানে ভিকটিমের পক্ষে “তার অসম্মতির কথা প্রকাশ করা” কঠিন।
এর মধ্যে রয়েছে এরকম পরিস্থিতি যখন ভিকটিম মদ কিম্বা কোনো ড্রাগের কারণে মাতাল থাকেন; অথবা সহিংসতা অথবা হুমকির শিকার হন; অথবা “আতঙ্কিত কিম্বা বিস্ময়বিহ্বল” থাকেন। আরেকটি পরিস্থিতি হচ্ছে ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থাৎ এমন এক পরিস্থিতি যখন ভিকটিম কথা মতো কাজ না করলে অসুবিধার মধ্যে পড়তে পারেন বলে “উদ্বিগ্ন” থাকেন।
একই সাথে আইনের সংস্কারে সম্মতি দেওয়ার বয়স ১৩ থেকে বাড়িয়ে ১৬ করার কথাও বলা হয়েছে। কিছু কিছু অধিকার গ্রুপ এসব পরিস্থিতি আরো পরিষ্কার করার দাবি জানিয়েছে। তারা বলছেন এগুলো এমনভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যার নানা রকমের অর্থ করা যেতে পারে। তারা আরও আশঙ্কা করছেন যে এর ফলে আইনজীবীর পক্ষে অভিযোগ প্রমাণ করা আরো কঠিন হয়ে পড়তে পারে। তারা বলছেন অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীদের রক্ষার বিষয়ে আরো সুরক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
তার পরেও সংস্কারের এই বিল পাস হলে, যারা এর জন্য দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করে আসছিলেন, তাদের জন্য এটা হবে বড় ধরনের বিজয়। ‘তারা আইনের শিরোনামও পরিবর্তন করছে, আমরা এখন আশা করছি যে জাপানের লোকজন এখন এবিষয়ে কথাবার্তা বলতে শুরু করবে যে সম্মতি কী জিনিস, অসম্মতির অর্থ কী?’ বলেন টোকিও-ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস নাও-এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট কাজুকো ইতো।
তবে সময় ফুরিয়ে আসছে। জাপানের পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষে এই আইনটি ১২ জুনের মধ্যে পাস হতে হবে। কিন্তু বর্তমানে সেখানে অভিবাসন নিয়েই খুব বেশি বিতর্ক চলছে। এই সময়সীমার মধ্যে বিলটি পাস করতে না পারলে এই সংস্কারকাজ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে। অধিকার-আন্দোলন কর্মীরা গত সপ্তাহে এই বিলম্বের নিন্দা করে বলেছেন এটি “গ্রহণযোগ্য নয়।” এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে তারা আইন-প্রণেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি।