ফজল উদ্দিন ছাতক প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকের
বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগসহ তাঁর অপসারণের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।( গত ২১ জানুয়ারি)শনিবার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ কলেজের প্রধান ফটকে গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও কলেজের প্রাক্তন ছাত্র নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের প্রাক্তন ছাত্র কাজী মাওলানা আবদুস সামাদ ও যুবনেতা ছায়াদুর রহমান এর যৌথ পরিচালনায় শুরুতে পবিত্র কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ আমির হোসেন।
ছাত্র সমাজ, বৃহত্তর গোবিন্দগঞ্জবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, সালিশ ব্যক্তিত্ব মুজিবুর রহমান, মাস্টার মাফিজ আলী, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আবদুস শহিদ মুহিত, সুন্দর আলী বুলবুল, উপজেলা স্বেচ্চাসেবকলীগের সভাপতি ওবায়দুর রউফ বাবলু, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আবু বক্কর রাজা, সদরুল আমীন সোহান, আশরাফুর রহমান এনাম, সাবেক মেম্বার আলী আশরাফ তাইদ, রাজা চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক এমএ গফ্ফার, ছাতক উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক জাহিদ হাসান ডালিম, কলেজ ছাত্র এমদাদুল হক ইমন ও আলী আশরাফ প্রমুখ।
সমাবেশ চলাকালে সৎপুর কামিল মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা শফিকুর রহমান, ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, ছাতক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাদাত লাহিন, ছাতক পৌর সভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহিদ মজনু, উত্তর খুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ, জাউয়াবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হক, ছৈলা-আফজলাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ, সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা দাবীর সাথে একমত পোষণ করে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের প্রস্তাব দেন। এসময় প্রবীন মুরব্বি এ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ (কেনু মিয়া), গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান, এসএম তৈয়বুর রহমান, মুরব্বি ফরিদ মিয়া, শাহিদুর রহমান চৌধুরী, আবদুল লতিফ মাষ্টার, পীর টুনু মিয়া, শামীম আহমদসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনির সহস্রাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, অবৈধ অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক মুরব্বিদের তীলে তীলে গড়া কলেজটি ধ্বংশ করছেন। কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সূবর্ণজয়ন্তী ও পূনর্মিলনী নামে দেশ-বিদেশ থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে হিসেব না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে। সম্প্রতি কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র রেজাউলকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে আহত করে ক্ষান্ত হয়নি, তাকে থানা পুলিশে সোপর্দও করেছিল। পরে কলেজ ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে তাকে থানা থেকে আনা হয়। এছাড়া তিনি যে অবৈধ ভাবে অধ্যক্ষের পদে আছেন তার যাবতীয় আদালতের ডকোমেন্ট সংরক্ষিত আছে। এ অবৈধ অধ্যক্ষকে দ্রুত এখান থেকে অপসারণ করা না হলে তাঁর বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হবে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।