ছাতক প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ছাতকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আন্তত ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।( গত ২৬ মার্চ) রোববার সন্ধ্যার পর উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের কামরাঙ্গী ও আহারগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে গুরুতর আহত ফারুক মিয়া, আশিক মিয়া, আব্দুল মনাফ, মইনুল হক, তাজিদুল ইসলাম,জুবায়ের আহমদ, সোহেল মিয়া, রমজান আলীসহ ১৫ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর দুটি পক্ষের মাঝে থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কামরাঙ্গী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য কয়েছ মিয়া পক্ষের সাথে আহারগাঁও গ্রামের ছোরাব আলীর পক্ষের জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এসব বিষয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে বিজ্ঞ আদালতে একাধিক মামলাও বিচারাধীন রয়েছে। রোববার বিকেলে আসরের নামাজের সময় কামরাঙ্গী গ্রামের স্থানীয় জামে মসজিদে নামাজ পড়া নিয়ে কয়েক জনের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে ইফতারের পর্বেই একদফা সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ইফতারের পর দুই গ্রামের লোকজন লাটিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে সিলেট ও অন্যান্য আহতদের স্থানীয় কৈতক হাসপাতাল ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের খবর জানতে পেরে থানা পুলিশ ঘটনান্থলে পৌছে স্থানীয় মুরব্বীদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. মাইনুল জাকির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসরের নামাজের সময় এক পক্ষের এক কিশোরকে মসজিদে আসতে নিষেধ করেন প্রতিপক্ষের লোকেরা। এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা হয়নি।