ছাতক প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ছাতকে বেপরোয়া ছেলে কর্তৃক পিতা-মাতাকে অত্যাচার-নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্মম এ ঘটনাটি ঘটেছে ছাতক উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের মৈশাপুর-মুসলিমকোনা গ্রামে।
জানা যায়, উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের মৈশাপুর মুসলিমকোনা গ্রামের হানিফ উল্লাহ দম্পতির ছেলে নুনুর আলী কে ২০ বছর পুর্বে তার ভাগের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়ে তাকে পরিবার থেকে পৃথক করে দেয়া হয়। এর পরে তার বেপরোয়া চলাফেরার কারণে তাকে আদালতের মাধ্যমে ত্যাজ্যপুত্র করেন হানিফ উল্লাহ। এর পরও সে তার ভাগের সম্পত্তি দাবী করে পিতা-মাতাসহ অন্যান্য ভাইবোনদের উপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উটেছে।
গত মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বেলা দুইটার দিকে সম্পত্তি নিয়ে নুনুহর আলী, ও আরশ আলীর কথা কাটাকাটি জের ধরে তার স্ত্রী রেছনা বেগম, কন্যা সাজনা বেগমসহ সংঘবদ্ধরা হানিফ উল্লার বসত ঘরে আক্রমন করে। পরে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়। এতে নুনুর আলীর পিতা (৮৫) বছর বয়সি হানিফ উল্লাহ, ভাই খোয়াজ আহমদ, আরশ আলী, ইলিয়াছ আলী, গেদাব আলী আহত হয়। গুরুতর আহত গেদাব আলীকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মারামারির সময় ধারনকৃত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় নুনুর আলীর কন্যা তার এক চাচার সাথে মারামারিতে লিপ্ত হতে দেখা গেছে।
এ ঘটনায় বুধবার হানিফ উল্লার স্ত্রী অনেকজান বিবি বাদী হয়ে ছেলে নুনুর আলী সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এবিষয়ে নুনুর আলীর সাথে কয়েক দফায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নিতে সম্ভব হয়নি।
তবে মারামারিতে ওপর পক্ষের দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ছাতক থানার উপপরিদর্শক আসাদুজ্জামান রাসেল।