বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে সুপরিচিত নাম তানোর উপজেলায় শুরু হয়েছে কৃষকের স্বপ্নের সোনালী ফসল আমন ধান কাটা ও মাড়াই। এবার একেক বিঘা জমিতে আমন ধানের ফলন হচ্ছে কাচিতে ৩৩/থেকে ৩৫ মন ও পাকিতে ১৮ থেকে ২০ মন করে। পাখি ডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে উপজেলার মাঠে মাঠে আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। দম ফেলার মতো সময় নেই কৃষক ও শ্রমিকদের মধ্যে। একদিকে আমন ধান কাটা হচ্ছে অন্যদিকে সেই জমি হালচাষ করে আলু রোপণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। ফলে আমন ধান কাটার পাশাপাশি আলু রোপণের প্রস্তুতির জন্য কাজ করতে পেয়ে শ্রমিকরা ব্যাপক খুশি।
জানা গেছে, অন্যবছরের তুলনায় এবছর আমন রোপণের শুরু থেকে কৃষককে ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আমন চাষের ভরা মৌসুম আষাঢ় মাসেও ছিলনা তেমন আকাশের বৃষ্টির দেখা। যার জন্য সঠিক সময়ে আমন ধান রোপণ করতে পেরেছিলো না প্রায় কৃষকরা।কিন্তু অসময়ে হলেও আমন ধান চাষ করতে বাদ পড়েন নি কোন কৃষক।
আর যাঁরা আমনের শুরুতে ডিপ মটারের পানি কিনে আমন ধান রোপণ করেছিলেন তাদের প্রায় জমির ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন তারা সেই জমিতে আলু রোপণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে ,চলতি মৌসুমে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২হাজার ৪৩৫ হেক্টর। কিন্তু অর্জন হয়েছে ২১হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ। কামারগাঁ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, এবার আমন চাষে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে কৃষকদের কে। আমন চাষের শুরু থেকে পানির সমস্যা তো ছিলোই, তার সাথে পটাশ সারের ছিলো তীব্র সংকট। অনেকে পটাশ সার ছাড়াই আমন ধান চাষ করেছে। তার পরেও আল্লাহর রহমতে ভালো ফলন হয়েছে আমন ধানের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ জানান, আমনের এই একটি আবাদ কৃষকরা অল্প খরচে বেশি লাভবান হয়ে থাকেন। যদি কোন দূর্যোগ বালাই না হয় তাহলে আমনের ফলনও খুব ভালো হয়। কৃষকের আমন ধান চাষে কোন রোগ বালাই না হয় সেজন্য প্রথম থেকে প্রতিনিয়ত কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে থেকে তদারকি করা হয়।