তন্ময় দেবনাথ , রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাঘায় আসন্ন ২৯ শে ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ৭ জন প্রার্থী দৌড় ঝাপ শুরু করেছে। নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা আগাম প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। যে যার মতো কৌশলে ভোটারদের মন জয় করতে ব্যস্ত। দলীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান বাদ দিচ্ছেন না কোনটিই। প্রতিটি অনুষ্ঠানেই নিয়মিত অংশ নিয়ে চালাছেন গণসংযোগ। দিচ্ছেন নানা উন্নয়নের আশা। এতে করে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে পৌরসভার সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা। ঝাড়া দিয়ে উঠেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও, ফলে ঝিমিয়ে থাকা রাজনৈতিক অঙ্গনে মুুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে নির্বাচনের উত্তাপ। বর্তমানে বাঘায় চায়ের দোকান থেকে অফিস ও পাবলিক প্লেসে বইছে আগাম নির্বাচনের হাওয়া।
জানাযায় , চলতি বছরের ২৯ শে ডিসেম্বরের বাঘা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ খবরে বাঘা পৌর এলাকায় নির্বাচনের হাওয়া শুরু হয়েছে। পৌরসভার সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা নিজেদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে কেন ও কি কারণে পৌরবাসীর সেবায় তারা নিয়োজিত হতে চান তা লিফলেট ছাপিয়ে জনগণের হাতে হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন। প্রার্থীদের ছবি সম্বলিত এ লিফলেটগুলো পৌর ভোটার দের আগাম নির্বাচনী আমেজ দিচ্ছে। প্রার্থীদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে বাঘার বিভিন্ন চায়ের দোকান, হোটেল, রেস্তুরায় আর জনসমাগম স্থলগুলোতে ও চলছে সরগরম আলোচনা। নিচ্ছেন আগাম দোয়া ও আশীর্বাদ। তাদের সমর্থক ও শুভাকাংক্ষীদের মাধ্যমে চালাচ্ছেন তাদের ভোট জরিপও। প্রার্থীরা পাড়া মহল্লার ছোট-বড় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সবার সহযোগিতা ও দোয়া চাইছেন। এসব অনুষ্ঠানে নগর উন্নয়নে নিজেদের নানা পরিকল্পনার বিষয়টি তুলে ধরে সকলের দৃষ্টি আর্কষণ করা চেষ্টা চালাচ্ছেন। আলোচনায় যাদের নাম ও আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে যারা মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন এরা হচ্ছে, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব আমানুল হাসান দুদু, সদস্য ও সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী, বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন, বর্তমান প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফাতেমা খাতুন লতা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন সুরুজ।
এদিকে বাঘা পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন, বর্তমান মেয়র আব্দুর রাজ্জাক ও জামাত নেতা প্রভাষক সাইফুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইসরাফিল বিশ্বাস এর নাম শোনা যাচ্ছে। তবে বিএনপির একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানাযায়, নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত রয়েছে কেন্দ্রীয়ভাবে। দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ এর অনুমতি দিলে প্রার্থী দিবে বিএনপি।
এলাকাবাসীর অভিমত, আগামী স্থানীয় নির্বাচনে এলাকায় তরুণ প্রার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার চলবে পাশাপাশি টাকার খেলাও। প্রার্থীরা চাইবে টাকার জোরে বিজয় ছিনিয়ে আনার জন্য। কিন্তু এলাকাবাসীর প্রশ্ন ভিন্ন। টাকা থাকলে সবকিছু নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে আসতে পারবে এটা সম্পূর্ণ ভুল। তাঁদের মতে নির্বাচন এমন একটি বিষয়, এখানে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার প্রশ্ন রয়েছে। যারা মানুষ ও এলাকার উন্নয়ন সাধন করতে পারবে আমরা তাদেরকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করব।