সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে জায়েদ খান বলেন, এত মেয়ে আমাকে দেখতে আসে, এত এত মেয়ের ক্রাশ, বিবাহিত হলে কি দেখতে আসত? এই ক্রাশটাই থাকুক না। হাতে আছে একটা জিনিস, ছেড়ে দিলেই তো শেষ। নাটাই তো আমার হাতে, থাকুক না হাতে কিছুদিন দাম বাড়িয়ে তারপর বিয়ে করব। বিয়ে করলেই তো দাম পড়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আমার জন্মস্থানে এত মানুষ আমাকে দেখতে এসেছে, এত দিন আমি বুঝিনি, যার ফলে আগে কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা হয়নি। এবার শুধু মাইকিং করা হয়েছিল―আমাদের পিরোজপুরের সন্তান, পিরোজপুরের গর্ব জায়েদ খান আসবেন পূজা দেখতে। ওখানে কোনো কালচারাল অনুষ্ঠানও ছিল না যে আমি পারফর্ম করব নাথিং লাইক দ্যাট। শুধু অষ্টমী আর নবমী―সেখানে মানুষের ঢল। প্রচুর বৃষ্টি, বৃষ্টি উপেক্ষা করে একটা মানুষও বাসায় যায়নি। আমাকে দেখে যাবে, তিল ধারণের জায়গা ছিল না নেছারাবাদে। ’
প্রচুর মেয়েও জায়েদ খানকে দেখতে এসেছিল। এমনই আরেকটি অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে অভিনেতা বলেন, ‘নাজিরপুরে গেলাম। ১০টায় পূজা শেষ কিন্তু আমি ১২টায় পৌঁছেছি। সেখানে মেয়েরা প্রচুর। এত মেয়ে, মেয়েরা মায়েরা, বোনেরা আমাকে দেখার অপেক্ষায় ছিল। এটা আমার কাছে খুব খুব ভালো লেগেছিল। আমার জন্য এত মানুষের ভালোবাসা, এত মানুষ দেখার জন্য এসেছে―এটা আমাকে আবেগতাড়িত করেছে, পিরোজপুরের প্রতি আমি আবারও ঋণী হয়ে গিয়েছি। ঠিক করেছি, এখন থেকে সময় পেলেই গিয়ে ঘুরে আসব। ’
ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেবও কিন্তু আপনাকে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছিলেন―এ প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, ‘আমার বাবাও তো বিয়ে করতে বলেছিলেন। বাবার কথাই শুনিনি আর ইলিয়াস কাঞ্চনের পরামর্শ কি শুনব বলে মনে হয় আপনার? বিয়ের বিষয়ে আমার যখন একটা মেন্টাল প্রস্তুতি আসবে তখন বিয়ে করব। যেহেতু আমার বাবা-মা নেই এখন। আমার বড় দুই ভাই আছে, বোন আছে, তাদের সঙ্গে আলাপ করে যখন মনে হবে এখন আমার মেন্টাল সময় বা ম্যাচিউরিটিও এসেছে তখন বিয়ে করব।