মাগুরা প্রতিনিধিঃ
বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে খুলনা বিভাগে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করলেও মাগুরায় তা মানছেন না বাস মালিক ও চালকরা। মাগুরার সঙ্গে সব জেলার বাস চলাচল সচল রয়েছে।
শুধুমাত্র সরাসরি খুলনার সঙ্গে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে খুলনার সঙ্গে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও ইতোমধ্যে মাগুরার অধিকাংশ নেতাকর্মীরা খুলনা পৌঁছে গেছেন বলে দাবি জেলা বিএনপির। তবে খুলনায় মাগুরা বিএনপির ১০ নেতাকর্মী পুলিশের হাতে আটক হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আকতার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই অনেক নেতাকর্মী বাসে করে খুলনা চলে গেছেন। আবার অনেকে শুক্রবার যশোর পর্যন্ত বাসে গিয়ে, সেখান থেকে ট্রেনে করে খুলনা গেছেন। বাকি নেতাকর্মীরা শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার বাসে করে যশোর যাবেন। পরে সেখান থেকে ভেঙে ভেঙে ছোট যানবাহন ও মোটরসাইকেলে করে খুলনা পৌঁছবেন। দুর্ভোগ ও কষ্ট করে হলেও মাগুরা বিএনপির নেতাকর্মীরা খুলনার সমাবেশে যোগ দেবেন। সরকার শুধু শুধু খুলনার সঙ্গে বাস যোগাযোগ বন্ধ করে তামাশা করেছে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আকতার হোসেন জানান, খুলনার সমাবেশকে সামনে রেখে জেলায় পুলিশ বিএনপির কোন নেতাকর্মীদের আটক করেনি। তবে শুক্রবার ভোরে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির ১০ নেতাকর্মীদের আটক করেছে। ওই নেতাকর্মীরা বাস থেকে খুলনায় পৌঁছানোর পরই পুলিশ তাদের আটক করে।
এছাড়া হোটেলে থাকা মাগুরা থেকে যাওয়া নেতাকর্মীদের পুলিশ নানাভাবে হয়রানী করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এদিকে মহম্মদপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ মৈমুর আলী মৃধা ও সদস্য সচিব আক্তারুজ্জামান সমাবেশ সফল করতে এবং কর্মীদের উৎসাহ দিতে শুক্রবার সকালেও উপজেলা সদরে নেতাকর্মীদের নিয়ে লিফলেট বিতরণ করেছেন। তারা বলেন, সমাবেশ সফল করতে তারা যেকোনো উপায়ে খুলনা পৌঁছবেন। ইতোমধ্যে অনেক নেতাকর্মী বিভিন্নভাবে খুলনা পৌঁছে গেছেন। বাকি নেতা কর্মীরাও খুলনা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহম্মদপুর বিএনপির এক নেতা জানান, তারা আজই নদী পথে একাধিক ট্রলারে করে খুলনার উদ্দেশে রওনা দেবেন।
শালিখা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিচুর রহমান মিল্টন জানান, সব বাধা উপেক্ষা করে দলীয় নির্দেশে অনেক নেতাকর্মী ইতোমধ্যে বিভিন্নভাবে খুলনা পৌঁছে গেছেন। অনেকে যশোর থেকে ট্রেনে করে খুলনা গেছেন। শুক্রবার অনেকে রওনা করেছেন। বাকি নেতাকর্মীরা কাল সকালে মাইক্রোবাসে ও মোটরসাইকেলে করে খুলনার সমাবেশে যোগ দেবেন।
শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদরুল আলম হিরো জানান, তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে খুলনা যাওয়ার জন্য ১০ টি বাস ও ৫ টি মাইক্রোবাস ভাড়া করেছিলেন। কিন্তু সরকার দলের চাপে বৃহস্পতিবার বাস ও মাইক্রোবাস মালিকরা ভাড়া বাতিল করেছে। যে কারনে শুক্রবার রাতেই অনেক নেতাকর্মী বাসে করে খুলনা পৌঁছেছেন।
মাগুরা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসহাক মল্লিক ও মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইমদাদুর রহমান জানান, মাগুরায় আন্তঃজেলা বাস ধর্মঘটের কোন প্রভাব পড়েনি। সরাসরি খুলনা বাদে সব জেলার সঙ্গে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।