মোঃ ইব্রাহিম সরকার
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মৎস্য চাষী কাচু মিয়ার লিজ পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে তিন লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনায় মৎস্য চাষী কাচু মিয়া বাদী হয়ে কয়েকজনকে অজ্ঞাত নামে আসামী করে আদিতমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পূর্ব বিরোধের জেরে এই বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে পুকুরে রুই, কাতলা, সিলভার কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে ওঠে।
মৎস্য চাষী কাচু মিয়া বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছি। অভিযোগে কাচু মিয়া বলেন আমার পারিবারিক অবস্থা ভালো না আমি অন্যের পুকুর নিয়ে মাছ চাষাবাদ করি। এরই ধারাবাহিকতায় সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের চওড়াটারী গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাস আলীর পুকুর নিয়ে মাছ উৎপাদন করে থাকি। কাচু আক্ষেপ করে বলেন গরিবের ভালো কেউ দেখতে চায় না। কোনদিন না খেয়ে থাকলেও কেউ খোঁজ খবর নেয় না। আমার পরিবারে বাবা-মা সহ সবাই আমার উপর নির্ভরশীল মাছ চাষ ও ইটের ব্যবসা করে আমার সংসার চলে। আমি গত মাসে আব্বাস চেয়ারম্যানের পুকুর তার সন্তান নুরে আলম সিদ্দিকীর কাছে লিজ নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির রুই কাতলা সিলভার কাপ মিনার কাপ সরপুটি বাটা নাইলো টিকা সহ ১০ প্রজাতের মাছ পুকুরে ছেড়ে দেই। এবং পুকুরের লিজ কৃত টাকা ৪০০০০ পুকুরের মালিককে বুঝিয়ে দেই। সাপটিবাড়ি ইউনিয়নের ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন ব্রাক এনজিও থেকে এক লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করি এবং পূর্বের জমানো এক লক্ষ ৬০ হাজার টাকা সহ মোট তিন লক্ষ টাকা লিজকৃত পুকুরের পিছনে ব্যয় করি। এনজিও হতে গ্রহণ কৃত এক লক্ষ টাকার একটি মাত্র কিস্তি প্রদান করি। আমার পুকুরের মাছ ধ্বংস হওয়াতে এখন আমি নিঃস্ব প্রায়।
আদিতমারী মৎস্য অফিসের মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান এর সঙ্গে কথা হলে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলেন এবং তিনি সরেজমিন
পরিদর্শন করেন।
উক্ত অভিযোগের বিষয়ে আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।