লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি:
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নেসকো অফিস যেন লাগাম বিহীন। গলায় আটকানো মাছের কাঁটার মতো করেছে মানুষের জনজীবন বিদ্যুৎ অফিস,নেসকো !
দালাল চক্র আর অফিসের কর্মকর্তা,কর্মচারীদের সিন্ডিকেটে যেন জিম্মি এলাকার সর্বোসাধারণ মানুষ, আর সেবার নামে ভোগান্তির চরমে। আবার নয়-ছয় এর এই হিসেবে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। নতুন সব পোল বসানো হচ্ছে, আর পুরোনো তার ও অন্যান্য সরঞ্জাম গুলো দালাল সিন্ডিকেট এর মধ্যমে বিক্রি হচ্ছে হরহামেশায় , ভ্রাম্যমান আদালতের নামে ম্যাজিস্ট্রেটরা আইন না মেনেই ৫০,০০০ হাজার টাকার জায়গায় জরিমানা করছেন ২/৩ লক্ষ টাকা, এমনকি ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।এ যেন হরিলুটের এক অভয়ারণ্য কালীগঞ্জে বিক্রয় ওবিতরণ,বিভাগ,নেসকো।
মিটার পাঠক(পিচরেট)এর বিরুদ্ধে মিটার না দেখে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল ও গ্রাহক হয়রানীর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে উপজেলার ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও সাধারন জনগণ মঙ্গলবার ১২-০৩-২৪ তারিখ
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা অভিযোগ করেন যে, "অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে করতে তারা দিশেহারা।
আগের বিলের তুলনায় এখন কয়েকগুণ বেশি বিদ্যুৎ বিল আসছে ,বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, আগামী মাস থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তূ মাসের পর মাস চলে যাচ্ছে অস্বাভাবিক বিল আসতেই থাকে আবার সময়মত বিল পরিশোধ না করতে পারলে, বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পুনরায় সংযোগ নিতে গেলে ভুতুড়ে বিল পরিশোধের পাশাপাশি সংযোগ নিতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি অংকে টাকা।
ভুক্তভোগীরা আরও অভিযোগ করে বলেন যে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটারের রিডিং দেখে বিল তৈরি করার নিয়ম থাকলেও প্রতি মাসে,অফিসে বসে অনুমাননির্ভর ভুতুড়ে বিল তৈরি করে গ্রাহকদের কাছে বিলি করেন তারা। "এতে অতিরিক্ত বিলের বোঝা মাথায় নিয়ে বিদুৎ অফিসসহ বিভিন্ন দালাল সিন্ডিকেটের কাছে ধরনা দিতে হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকদের। ভুক্তভোগীদের থেকে জানা যায় যে, প্রকৌশলী রকি চন্দ্র দাস তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের উগ্ৰপন্থি সংগঠন (ইস্কন) এর সদস্য হওয়ায় বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আধিপত্য বিস্তার করে যাচ্ছেন।
এসব কর্মকান্ডে অনেক সময় অফিসের লোকজনের সঙ্গে ভুতুড়ে বিল ও অসৎ কর্মকান্ড কে কেন্দ্র করে গ্রাহকরা জড়িয়ে পড়ছেন বাগবিতণ্ডায়। দীর্ঘদিন থেকে এই সমস্যা চলতে থাকায় গ্রাহকদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
সাম্প্রতিক কালিগঞ্জ,"উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিড়ি শ্রমিক রুহুল আমিন নামে এক গ্রাহক,২০১৫ সালে নিয়েছেন বিদ্যুৎ সংযোগ, বাড়িতে তিনটি বাল্ব ব্যবহার করে প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল গুনতে হয়েছে তার, ১০০ থেকে ২০০ অথবা ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত। তবুও কোনদিন অভিযোগ না করে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছিলেন তিনি,হঠাৎ ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে তার ব্যবহৃত বিদ্যুৎ ইউনিট (৪৮০০) দেখিয়ে এটি ভুতুড়ে বিল দেন নেসকো অফিস কালীগঞ্জ। অথচ তার অক্টোবর /২০২২ এ নিয়মিত মিটার রিডিং ছিল ১১৯২০ ইউনিট। যার পরবর্তী নভেম্বর মাসে মিটার রিডিং ১৬৭২০ ও ব্যবহৃত ইউনিট (৪৮০০ )দেখিয়ে এই শ্রমিক রুহুল আমিনকে বিল দেয়া হয়, ৫৭ হাজার ৬শত ৫৫ টাকা। আবার পরবর্তী ডিসেম্বর মাসে মিটার রিডিং সর্বশেষ ১২০২০ ইউনিট দেখিয়ে ব্যবহৃত ৫০ ইউনিটের বিল তাকে প্রদান করার জন্য জানানো হয় । তিনি এ বিষয়ে বিদ্যুৎ অফিসে এসে এর প্রতিকার চাইলে সেই ভুতুরে বিলের জন্য ৩ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে অফিসের বিল ডিস্ট্রিবিউটর নূরুল নামের একজন বিলটি কমিয়ে ৩৪ হাজার টাকা পরিশোধ করতে বলেন। অবশেষে মানববন্ধনের কথা জানতে পেরে সেই বিল ডিস্ট্রিবিউটর নিজেই ওই শ্রমিকের বিল পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেন। এমন প্রতিশ্রুতি পেয়ে ওই ভুক্তভোগী মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেননি।