দেখতে সাদামাটা। বয়সও কম। কিন্তু ধর্মীয় অঙ্গনে একের পর এক বড় বড় কাজ করে চলেছেন মুফতি রেজাউল করিম আবরার।
১৯৯৩ সালে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের তালবাড়ী পূর্ব গ্রামে জন্ম নেওয়া তরুণ এ আলেম দেশের প্রবীণ আলেম আল্লামা কুতবুদ্দীনের (রহ.) ছেলে।
মুফতি রেজাউল করিম আবরার দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেন ঢাকার বিখ্যাত কওমি মাদ্রাসা জামেয়া ইকরায়। হাদিস বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি (তাখাসসুস ফি উলুমিল হাদিস) নেন দেশের প্রখ্যাত প্রতিষ্ঠান মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ায়। এ ছাড়া ফিকহ শাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি (তাখাসসুস ফিল ফিকহি ওয়াল ইফতা) নিয়েছেন আরেক বিখ্যাত মাদ্রাসা জামেয়া আবু বকরে।
প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষ করে মুফতি রেজাউল করিম আবরার যাত্রাবাড়ীর জামেয়া আবু বকরে মুফতি ও মুহাদ্দিস হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন।
বর্তমানে তিনি জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম কুতুবখালির শায়খুল হাদিস ও জামেয়া মাহমুদিয়া যাত্রাবাড়ীর প্রধান মুফতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ইসলাম ধর্মের মতবিরোধপূর্ণ বিভিন্ন মাসআলা বেশ সহজ ও যুক্তিপূর্ণভাবে উপস্থাপন করে দেশজুড়ে আলোচিত তরুণ এ আলেম।
যখনই ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে অযৌক্তিক প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তখনই অত্যন্ত যৌক্তিক ও প্রমাণসহ কথা বলেন মুফতি রেজাউল করিম আবরার।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করে ইতোমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে ইসলামপ্রিয় নারী-পুরুষ তার আলোচনা থেকে ইসলামের বিভিন্ন মাসআলা-মাসায়েল সম্পর্কে দলীলভিত্তিক সমাধান খুঁজে পান।
মুফতি রেজাউল করিম আবরার মাদ্রাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও এফ.এম রেডিওতে তার তাত্ত্বিক আলোচনা বেশ সমাদৃত হচ্ছে। বিভিন্ন বাতিল মতবাদের খণ্ডন ও মুসলিম তরুণদেরকে সচেতন করতে লেখালেখি ছাড়াও মিডিয়ার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তিনি।
শিক্ষাজীবনেই প্রকাশিত হয় তার অনূদিত প্রথম গ্রন্থ ‘তারাবীর নামাজ, একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা’। এরপর ড. শায়খ আলি তানতাবির ‘আলোর মিনার’ (অনুবাদ), ‘দাজ্জাল’ (মৌলিক) ছাড়াও বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ হয়েছে। বিজ্ঞমহলের কাছে মুফতি রেজাউল করিম আবরারের এসব কাজ প্রশংসিত হয়েছে।