মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার কেশবচরে প্রতিহিংসার শিকার নিরিহ খালেদ আহমদের পরিবার ন্যায় বিচার কামনায় আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন। তিনি ন্যায় বিচারের আশায় প্রশাসন সহ বিভিন্ন মহলের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কিন্তু কারো সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে বাদীপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় তারা বাদী খালেদ মিয়ার পরিবারকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন এবং মামলা তুলে নেয়া হুমকী দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
মৌলভীবাজার জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (১ নং আমল আদালত) আদলতে বাদী খালেদ আহমদের দায়ের করা মামলার (মামলা নং ৫০৩/২০২২ ইং সদর) বিবরণ থেকে জানা যায়, চলতি বছরের গত ২৮ আগষ্ট সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে বাদীর বাড়ীতে গিয়ে মুকিদ মিয়া গংরা হাল চাষ ও চাষের মেশিন নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হুমকী-ধুমকী দেয়। এবং বাদীর বড় ভাই আগুর মিয়া বাড়ীতে আসলে আসামীরা ছুলফি, লোহার রড, কাঠের রুশ প্রভৃতি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ও অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় আমার ভাই আগুর মিয়ার হাত ভেঙে যায় এবং আমার স্ত্রী নাজনীন বেগম পায়ে মারাত্বক আঘাত করে। ফলে তার (নাজনীন বেগম) পায়ে ১০/১২টি সেলাই করতে হয়। এজন্য তিনি সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
উল্লেখিত ঘটনায় বাদী খালেদ আহমদের দায়ের করা মামলায় আসামীরা হলেন: মুকিদ মিয়া, রুফুল মিয়া, বশির মিয়া, আমির হোসেন ও কামাল মিয়া। উক্ত ঘটনার ব্যাপারে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার বরাবর সুবিচার চেয়ে আবেদনও করেছেন বাদী। সেই আবেদনে বলা হয়েছে যে, উক্ত মামলা দায়ের করার আক্রশে আক্রাশান্নিত হয়ে বিবাদীগণ বাদী ও তার পরিবারের ক্ষতি করার পায়তারা করছেন এবং প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছেন। পাশাপাশি মামলাটি উঠিয়ে নেয়ার জন্য বিবাদীর প্রভাবশালী আত্নীয়-স্বজন, লন্ডন প্রবাসী আসিক মিয়া, কাজল মিয়া ও আয়াছ মিয়া সহ নিজ গ্রামের নুরুল হক তাদের প্রভাব খাটিয়ে অর্থের বিনিময়ে দিনমুজুর ও নিরিহ সুজন মিয়াকে দিয়ে তার স্ত্রীকে মারপিট করা হয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ তুলে মৌলবীবাজার মডেল থানায় পাল্টা জিআর (৩০১/২০২২, তারিখ ১২/১০/২০২২ইং) দায়ের করেছেন। যা সর্ববৈ মিথ্যা ও বানোয়াট। পাশাপামি বিবাদীগণের তালতো ভাই ইউপি মেম্বার ইলাছ মিয়াও স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় বিবাদীদের পক্ষে প্রভাব খাটাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখিত ঘটনার ব্যাপারে গ্রামবাসীরাও কিছু জানেন না বলে জানা গেছে। বরং উল্লেখিত বিবাদীরা ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে প্রভাব-প্রতিপত্তির জোরে অনেকেই হয়রানী করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
জানা যায়, লন্ডন প্রবাসী আসিক মিয়া ও কাজল মিয়ার আপন চাচাত ভাই দিন মুজুর সুজন মিয়া। এমতাবস্থায় নিরিহ খালেদ আহমেদের গ্রামবাসীরা ন্যায় বিচার কামনা করেছেন।