হাসান চৌধুরী, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
গত কয়েক দিন ধরে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর পানি বাড়ার সাথে সাথে তীব্র স্রোতে প্রতিদিন ভাঙ্গছে নদী। একটু একটু করে আগ্রাসী যমুনা গিলে খাচ্ছে এই জনপদের মানুষের বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গাছপালা, ফসলি জমিসহ বহু ব্যবস্থাপনা। বিলীন হচ্ছে যমুনা নদীর দক্ষিণ অংশ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও চৌহালির নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা। ভাঙ্গন আতংকে এখন র্নিঘুম রাত কাটছে এসব এলাকার মানুষের। ভিটা মাটি আর সহায় সম্বল হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে ভাঙ্গন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা। আতংকে অনেকেই সরিয়ে নিচ্ছে ঘরবাড়ি।
এভাবে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে হুমকির মুখে পড়বে এনায়েতপুর ঐতিয্যবাহি শাড়ির হাট ও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসহ জালালপুর, হাটপাচিল, ব্রাহ্মণগ্রাম ঘাটাবাড়ি ও আরকাদির শত শত পরিবার।
এদিকে এলাকাবাসীদের অভিযোগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে ও সময়মতো কাজ না করায় এই ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
সাড়ে ৬ শ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে তামাশা করা হচ্ছে। কাজের কাজ হচ্ছে না। এটা লুটপাটের পায়তারা বলে ক্ষতিগ্রস্থরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ভাঙ্গন রোধে জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত অংশে বালি ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। পাশাপাশি ঐ এলাকায় চলমান রয়েছে স্থায়ী বাধ নির্মানের কাজ। এছাড়া, ভাঙ্গন রোধের সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যা আগামী শুষ্ক মৌসুমে পুরোদমে কাজ শুরু করা হবে।
জেলা প্রশাসক, মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, বলেন এ দিকে নদী ভাঙ্গনে খোলা আকাশর নিচে আশ্রয় নেয়া মানুষদের জন্য আপাদত ঢেউটিন ও পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর গৃহহীন প্রকল্পের সকল ক্ষতিগ্রস্তদের আওতায় আনা হবে।