রোগাটে চেহারা। এদের অধিকাংশই বহিরাগত। রয়েছে পুরুষের পাশাপাশি নারীও। কারো বাড়ি জয়পুরহাট, কারো বিরামপুর, পার্বতীপুর বা পাঁচবিবিতে। ওরা ছিন্নমুল নয় ছন্নছাড়া। গৃহহীন নয়, গৃহছাড়া। মাদকের কারণে পরিবার থেকে, সংসার থেকে, সমাজ থেকে বিতাড়িত।যেখানেই রাত, সেখানেই কাত। কখনো রেলস্টেশনে,কখনো দোকানের বারান্দা বা পরিত্যাক্ত ভাঙ্গাচুরা ঘরেই তাদের ঠিকানা।
এদের দেখা মিলবে রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন রাস্তাঘাটে। তারা চুরি করে হোক. কখনো ভিক্ষুকের বেশে,কখনো বা সুইপারের বেশে হাত পেতে যা পায় তা দিয়ে নেশার অর্থ সংগ্রহ করে। উদ্যেশ্য একটাই নেশার টাকা।পেটে খাবার থাক বা না থাক টান দিতে হবেই হোরোইনের পাইপে। বিভিন্ন রাস্তাঘাট, রেলস্টেশন, বাসষ্ট্যান্ড, পানামা পোর্টের গেটসহ মাদকের আখড়াগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। কথা হয় মাদকসেবনকারী আয়নাল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, তার বাড়ি পার্বতীপুর থানার ঝুপড়িপাড়া এলাকায়। সে হেরোইনে আসক্ত। প্রথমে শখের বসে দু’এক টান দিতে দিতে এখন পুরোপুরি আসক্ত হয়ে পড়েছে। পরিবার থেকে বেশ কয়েক বার মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তারপরও ছাড়তে পারেনি নেশা। বর্তমানে সে পরিবার থেকে বিচ্ছন্ন। নেশার টাকার জন্য সুইপারের কাজ করে। হেরোইন আসক্ত সুফিয়া বেগম বলেন, ভাইরে কি আর বলবো দুখের কথা। এক ছেলেকে ভালবাসতাম। সেই আমাকে এই অন্ধকার জগতে ঠেলে দিয়েছে। এখন সেও আসক্ত, আমিও আসক্ত। যদিও দু’জনের বিয়ে হয়েছে।সন্তান নেই। সারাদিন দু’জনই মানুষের কাছে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে যা রোজগার করি। নেশা করতেই শেষ।দু’জনই এখন গৃহহারা।কোন আত্মীয়স্বজন আমাদের আশ্রয় দেয় না। যেখানে রাত, সেখানেই কাত (শুয়ে)থাকি।
সমালোচকদের অভিমত দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাগুলোতে মাদক সেবিদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের আইনের আওতায় না আনলে যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে ।