স্টাফ রিপোর্টার
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর রংপুর সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কর্তৃক একই ব্যাক্তিকে তিনবার বদলীর অভিযোগ উঠেছে। ১ মার্চ বুধবার সরে জমিন ও দালিলিক সূত্রে জানা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর ১৪/১২/২০২২ ইং তারিখের অফিস আদেশে রংপুর জেলার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মোছাঃ খাদিজাতুল কোবরাকে রংপুর সার্কেলে বদলী করে পাশাপাশি রংপুর সার্কেলের একই পদধারী মোঃ আজাদ হোসেনকে রংপুর সদর উপজেলায় বদলী করে। পরবর্তীতে রংপুর সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ বাহার উদ্দিন মৃধার মনোপূতঃ না হওয়ায় খাদিজাকে একটি চেয়ার টেবিল দিয়ে বসে রাখেন যেখানে কোন প্রকার কাজ নাই। তিনি ৩/১/২০২৩ তারিখে দপ্তরাদেশের মাধ্যমে আজাদ মিয়াকে বর্তমান রেখে খাদিজাতুল কোবরাকে প্রেষনা বদলী করেন (অথাৎ সার্কেল থেকে বেতন নিবে নির্বাহী প্রকৌশলীর অধিদপ্তর, রংপুর বিভাগ রংপুরে কাজ করবে)। পরবর্তীতে উর্দ্ধতন চাপে ও তোপের মুখে ৫/১/২০২৩ ইং তারিখে অফিস আদেশের মাধ্যমে ৩/১/২০২৩ তারিখের দপ্তরাদেশ স্থগিত করেন। কিন্তু খাদিজাতুল কোবরাকে চেয়ার টেবিলে আলাদা রুমে বসেই থাকতে হতো কোন কাজ নেই, কাজ সব আজাদই করতো। এমতাবস্থায় হঠাৎ করে ২৬/২/২০২৩ ইং তারিখে বাহার উদ্দিন মৃধা আবারো অফিস আদেশের মাধ্যমে মোঃ আজাদ হোসেনকে রংপুর সদর হতে রংপুর সার্কেলে ও খাদিজাতুল কোবরাকে রংপুর সার্কেল হতে রংপুর সদর উপজেলায় বদলী করে। যা সকল কর্মচারীকে নাড়া দিয়েছে। নাম প্রকাশ না করা সত্বে ২/১জন কর্মচারী বলেন, সার্কেল অফিসে প্রেষনের মাধ্যমে রয়েছে হিসাব সহকারী বিমল চন্দ্র রায় (প্রায় ১৬/১৭ বছর হতে), প্রেষণ প্রধান সহকারী মোজাম্মেল হক (প্রায় ১৫ বছর হতে, মূল কর্মস্থল রংপুর বিভাগ), অফিস সহকারী মোস্তাফিজার রহমান (প্রায় ২০ বছর হতে মূল কর্মস্থল পীরগঞ্জ সূত্র পীরগঞ্জ প্রশাসন), অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আজাদ হোসেন (প্রায় ১০ বছর হতে মূল কর্মস্থল রংপুর সদর) এরা সকলে মিলে একটি সিন্ডিকেটে কাজ করছেন। এরা মূলত ঠিকাদারী,
পেনশন, বদলী, চাকুরি স্থায়ীকরণসহ বিভিন্ন কাজ করে থাকেন। তাই তারা প্রকৌশলীর কাছের লোক বলে পরিচিত। আজাদের বাবা একজন বড় মাপের ঠিকাদার।এ ব্যাপারে মোজাম্মেল হক মোবাইল ফোনে বলেন, আমি এখানে ৮/১০ বছর থেকে কাজ করছি। সঠিক তথ্য কাগজ দেখে বলতে পারবো। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর ব্যস্থতা দেখিয়ে ফোন কেটে দেয় আর বলে ফ্রি হয়ে ফোন দিবো।অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আজাদ হোসেন বলেন, স্যার আমাকে খুব পছন্দ করেন, আমি স্যারের সব কাজ করে দেই তো তাই। আমি ১২ সালে চাকুরি হওয়ার পর হতেই রংপুরে আছি। আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা।অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক খাদিজাতুল কোবরা বলেন, আমি অফিসে যোগদান করার পর হতে আমাকে আলাদা একটি রুমে বসে রাখে। আমি স্যারকে বললে তিনি বলেন আজাদ আমার কাছের লোক ওকে কেমন করে সড়াবো। আমাকে প্রেষনা আদেশ দিয়ে উপরের চাপে আবার তা স্থগিত করেন। আবার হঠাৎ করে আমাকে বদলী করেন। আমার মানসম্মান সব নষ্ট করছে প্রকৌশলী স্যার আমি আমার মানসম্মান ফেরত চাই। আমার বাবা এই দপ্তরে চাকুরি করতো। আমার স্বামীও সিনিয়র কর্মচারী। সার্কেলের তত্ত¡বধায়ক প্রকৌশলী বাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, অফিসে দুটো গ্রæপ রয়েছে তাই কাজ করা কষ্টদায়ক সুবিধার্থে কাউকো বদলী করলে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, সচিব, কেউ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হতেও তা কাটিয়ে নিয়ে আসে। বলেন আমি কি করতে পারি। সচিব স্যারের ফোন পেয়ে আজকের এই আদেশ দিয়েছি। এরা পারলে কাটিয়ে নিয়ে আসুক। একই ব্যাক্তিকে বদলীর আদেশ বারবার দিচ্ছেন জানতে চাইলে তা এড়িয়ে যান তিনি।##