তন্ময় দেবনাথ
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি।
রাজশাহীর বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু চলতি মাসেও রাজশাহী রেঞ্জের ৭২ টি থানার মধ্যে দ্বিতীয়বারেও শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হলেন।গত মাসেও তিনি রাজশাহী রেঞ্জের সাতটি জেলার ৭২ টি থানার ওসিগনের সেরা অফিসার ইনচার্জ হয়েছেন। তিনি রাজশাহী জেলায় এবারও সপ্তম বার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানা যায়। চলতি নভেম্বর মাসেই পুলিশ সুপার মাসিক কল্যান সভায় ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন সপ্তম বারেও জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন সাজু।
বুধবার (১৬ই নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় রেঞ্জ অফিসের সভা কক্ষে পুলিশ ডিআইজি জনাব আব্দুল বাতেন বিপিএমপিপিএম (বার) রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দ্বিতীয় বারের মতো সন্মাননা স্বারক ও কেস্ট তুলে দেন ওসি সাজ্জাদ হোসেন এর হাতে।
বাঘা থানার সাধারণ মানুষের মুখের কথা ওসি সাজ্জাদ হোসেন নিজেকে জনগনের একজন সেবক হিসেবে পরিচয় দেন। সামাজিক যেকোন অনুষ্ঠানে পাশে বসে সবার সঙ্গে কথা বলেন ও সুন্দর পরামর্শ দিয়ে সকলের মতামত মূল্যায়িত করেন তিনি।
ওসি সাজ্জাদ হোসেন ২০২১ সালের জুলাই মাসে বাঘা থানায় যোগদান করেন। পর পর ৬ বার জেলার শ্রেষ্ঠ ও রেঞ্জের একবার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জনস্বার্থ ও মানবিক সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু কাজ করেছেন।সামাজিক অফিসার হিসেবে দেখা মিলেছে খেলার মাঠে।তিনি ক্রিকেট খেলতেও দেখা গেছে।ফুটবল খেলার মাঠে তিনি মাইকে খেলার ধারাভাষ্যকার হিসেবেও সমৎকার উপস্থাপক হয়ে সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। ব্যাটমিন্টন ও খেলছেন তিনি থানা চত্তরে। তিনি যা ইতোমধ্যেই স্থানীয় জনগণের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। ২০০১ সাল থেকেই পুলিশ বিভাগে চাকরি জীবনে ওসি হয়ে ২২ বছর ধরে উজ্জ্বল সফলতা ও সততার সঙ্গে কাজ করে আসছেন তিনি।
বাঘা থানায় যোগদানের পর থেকে নিজ কর্মগুণে সাধারণ মানুষের মন জয় করেছেন ওসি সাজ্জাদ হোসেন । বাঘা থানা এলাকা থেকে টাউট-বাটপার ও দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করেছেন। পুলিশি সেবাগ্রহীতাদের এখন আর দুর্ভোগ পোহাতে হয় না। মাদক, সন্ত্রাস, ইমু হ্যাকার আটক এবং দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার অভিযানেও সফল হয়েছেন তিনিসহ তার অধিনস্ত অফিসার গণ। যোগদানের পরপরই বাঘা থানাকে দালালমুক্ত ও মাদকমুক্ত থানা হিসেবে ঘোষণা দেন সাজ্জাদ হোসেন। এরই মধ্যে মাদক কারবারি, সেবনকারী সহ হ্যাকার দের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছেন তিনি।থানাধীন মাদক বড় সিন্ডিকেট এর কেউই ছাড় পাচ্ছে না ওসির মাদক অভিযানে।
তার ব্যতিক্রমী আরও উদ্যোগ হলো- বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে দুপক্ষের শালিশের উপজেলার মধ্য ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি পুলিশিং সভা, বিট পুলিশিং সভা সহ সন্ত্রাস,মাদক, হ্যাকিং, ইভটিজিং , বাল্যবিবাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন বিরোধী বিট পুলিশিং সমাবেশ, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে প্রত্যন্ত এলাকায় পাহারা জোরদার করেছেন।