কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে উমরমজিদ ইউনিয়নের উমরপান্থাবাড়ীর বেরুটারী গ্রামে ছাবের উদ্দিনের পুত্র আকতার আহসান তার নিজস্ব জায়গায় পুকুরের পাড় নিমার্ণ করেন।পুকুরের পাড় দীর্ঘ হওয়ায় ওই এলাকার কিছুসংখ্যক প্রতিবেশী পুকুরের পাড় দিয়ে চলাচল করতে করতে এক সময় রাস্তা হিসেবে দাবী করেন। তারা আকতার আহসান গংদের হয়রানী ও আর্থিক ক্ষতির হীন উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কুড়িগ্রামে ২৫ মার্চ ২০১৯ ইং তারিখে একটি পিটিশন দাখিল করেন। পিটিশন মোতাবেক ১৭ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখে মোঃ আবুবক্কর সিদ্দিক সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কুড়িগ্রাম স্বাক্ষরিত একটি রায় প্রকাশ করেন। রায়ের নির্দেশনা সুত্রে আকতার আহসান গংদের নব নির্মিত পুকুর পাড়ের রাস্তাটি নিজস্ব প্রয়োজনে ব্যবহার করা ও প্রয়োজনে ভেঙে ফেলারও নির্দেশ প্রদান করেন। সেই সঙ্গে পশ্চিম পার্শ্বে ৫০/৬০ বছরের পুরাতন রাস্তাটি পুনঃসংস্কার করে সেই রাস্তা দিয়ে উভয় পক্ষকে চলাচলের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
আদালতের এই আদেশ পাওয়ার পর আকতার আহসান গং পুকুর পাড়ের রাস্তাটি একাধিকবার ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিলেও প্রতিপক্ষের হীন স্বার্থে ও পেশিশক্তির প্রভাবে ঝামেলা এড়িয়ে চলার জন্য পুকুর পাড়ের রাস্তাটি ভেঙে ফেলা থেকে বিরত থাকেন। এই বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে রাজারহাট ভূমি কর্মকর্তার নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী আকতার আহসান গং।
উল্লেখ্য একই গ্রামের আব্দুল মোত্তালেবের পুত্র মোকছেদুল ইসলাম ২৫ মার্চ ২০১৯ ইং তারিখে কুড়িগ্রাম জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বরাবর পিটিশন দাখিল করেন।
উমরমজিদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী বলেন পুরাতন এবং নতুন রাস্তা দুটোই একই ব্যক্তির জমির উপর নির্মিত। যেহেতু আদালত নির্দেশ দিয়েছেন কাজেই পুরাতন রাস্তাটিই পুনঃসংস্কার করে ব্যবহার করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ভুক্তভোগী আকতার আহসান জানান আদালতের নির্দেশ পেয়েও রাস্তাটি ভেঙে ফেলতে পারছি না প্রতিবেশীর বেআইনি বাধার কারণে। আমরা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার সাহায্য কামনা করছি।
রাজারহাট উপজেলার নবনিযুক্ত ভূমি কর্মকর্তা এবিএম আরিফুল ইসলামের নিকট এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি সাংবাদিক কে জানান কোনো অভিযোগ কিংবা নির্দেশনা পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।