গভীর রাত-
চারদিক থমথমে নিথর, শান্ত নীড়।
রাতের নিস্তব্ধতা
নিঝুম নিকষ কাল আঁধারে,আমি একা নিশাচর পাখির মত জেগে আছি।
একাকী র্নিঘুম রাত মিটিমিটি জোনাকীর আলো,মাঝে মাঝে নিশাচর পাখি ডানা ঝাঁপটানোর শব্দে উদাসী হই।
নিঃসঙ্গ একাকিত্বের চাদরে ঢাকা হৃদয়ের আঙিনা,
রাতের অবসাদে চাঁদ আর মেঘের লুকোচুরি।
শুভ্র নির্মল পরিচ্ছন্ন মেঘ মাঝে মাঝে নিভিয়ে দেয় চাঁদের উজ্জ্বল শিখা,
দেয়াল ঘড়ির টিকটিক শব্দে জানিয়ে দেয় রাতের গভীরতা-
রাতের অলসতা ছাপিয়ে ভেসে আসা শিয়ালের ডাক ।
ঝরাপাতার মত উঠানামা করে নিঃশ্বাস প্রশ্বাস।
একাকিত্বের এই প্রহরে কেমন নিঃসঙ্গতায় গলাটা শুকায় বিবেকের দহনে ।
যতই গভীর হোক আঁধার, আমার ভয় কিসের;
তুমি আছ পাশে ছায়ার মত,
ভাবনার আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গ্রাস করে আমার স্মৃতিময় স্বপ্ন।
নিঝুম নির্ঘুম ঘুম রাতে একাকিত্বের ভাবনা,ছাদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আকাশের বিশালতায় হারিয়ে যাওয়া মনে অতৃপ্ত বাসনা আজও কাঁদায়।
উদাসী মনে বেলকনির গ্রীলের পাশে দাঁড়িয়ে জ্যোৎস্না ধরার মিছে প্রয়াসে মেতে উঠি।
তোমাকে এক মুঠো জ্যোৎস্না দেব বলে আমার এত প্রতীক্ষা,
রুপালি রাতের আকাশে
চাঁদের নিচে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের এক খন্ড
শুভ্রতা তোমাকে দিতে আমার উদাসী মন এখনো পথ চেয়ে থাকে।
আকাশের নীহারিকা, কয়েকটি উজ্জ্বল তারা কেন জানি আমাকে আশার বাণীতে ভুলিয়ে রাখে।
সবই অর্থহীন মিছে স্বপ্ন, আঁধারের মতই সঙ্গী শুধু নীরবতা, সহজ, সরল,স্নিগ্ধ মায়াবী হাতছানি।
ভুলে গেছ সব বিষাদে জড়ানো অবসাদ-
রাতের শেষ,প্রভাতের আলো জ্বলে রাতের যবনিকায়, কাতর ক্রন্দন,সকল আশার আলোর শিখায়।