লালমনিরহাট।
লালমনিরহাটে রিপন হত্যার চেষ্টা মামলার আসামীদের শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৩টায় সদর উপজেলা মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের রংপুর-বুড়িমারী মহাসড়কের পাশে ঘন্টা ব্যাপী এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন। উল্লেখ্য যে, সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের ফকিরটারী নামাটারী গ্রামে মহির উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩২) এর ভোগ দখলীয় জমি নিয়ে প্রতিবেশী একই গ্রামের কাইয়ুম আলী (৪৫), ছালাম মিয়া (৪৪), কালাম মিয়া (৪২), তুহিন মিয়া (২২), তুষার মিয়া (২০), রঞ্জু মিয়া (২৬) ও আমিনুর ইসলাম (২৮) গং এর সাথে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাক পিতা বাদী হয়ে মহির উদ্দিন বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে
লালমনিরহাট বিজ্ঞ আদালতে এমআর-২৬১/২৩ (লাল) মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় ২৮/১২/২৩ ইং তারিখে অভিযুক্তরা ওই জমিতে যাবে না মর্মে মুছলেকায় জামিন নেন। পরে বাদী ওই জমিতে রোয়া রোপন করেন। কিন্তু ৫/২/২৪ তারিখে রোপনকৃত রোয়া পরিকল্পিত ভাবে উপড়ায় ফেলে। ৬/২/২৪ ইং তারিখে সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় আব্দুর রাজ্জাকের ছোট ভাই রিপন (২৬) রোয়া উপড়ে ফেলার ঘটনা জানতে গেলে উল্লেখিত ৭ আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে ধারালো ছোরা, চাপাতি ও লাঠি নিয়ে পথরোধে আটক করেন। ওই সময় আসামীরা রিপনকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাথা কোপ মারে, কোপ ঠেকানোর চেষ্টা করলে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও কনিষ্ট আঙ্গুলের হাড় কাটা গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। এমনকি বাম হাতের ৩টি আঙ্গুল পড়িয়া যাওয়ার উপক্রম হয়। এছাড়াও বাম পায়ের রগ কাটিয়া দেওয়ার, মাথা ও কাঁধে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি মারপিট করে, শরীরে ছেলা, ফোলা জখম সৃষ্টি হয়। এতে রিপনের আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে গুরুত্বর আহতবস্থায় উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। যার ভর্তি রেজিঃ নং- ৩৪১/৫০, তারিখ- ০৬/০২/২০২৪ ইং।
তবে রিপনের শারীরিক অবস্থার ক্রমে অবনতি হইলে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
বর্তমান রিপন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এবস্থায় রিপনের ভাই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে কাইয়ুম আলী, ছালাম মিয়া, কালাম মিয়া, তুহিন মিয়া, তুষার মিয়া, রঞ্জু মিয়া ও আমিনুর ইসলামের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১২, তাং ০৮/০২/২৪ইং।
মামলার বাদী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। বিজ্ঞ আদালত থেকে তারা জামিন নিয়ে এসে আসামীরা আবারও ভয়ভীতি ও মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন। তাই আমরা হত্যার চেষ্টা মামলার আসামীদের শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিলসহ মানববন্ধন করেছি।