ফারুক আহমেদ সূর্য, স্টাফ রিপোর্টারঃ লালমনিরহাট
শুক্রবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের গুড়িয়াদহ গ্রামের দিনমজুর সাইফুল ইসলামের ছেলে আপেল মিয়ার পুরুষ লিঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটেছে।
এতে গুরুতর আহত অবস্থায় স্বামী আপেলকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমান তিনি সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এ ঘটনায় ঘাতক স্ত্রীকে আটক করেছেন লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ।
এলাকাবাসী জানান, প্রায় ১ যুগ আগে সাইফুল ইসলামের ছেলে আপেল মিয়ার সঙ্গে সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজীর চওড়া গ্রামের ছটকু মামুদের মেয়ের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসার জীবনে দুই পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। সম্প্রতি,
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া ঝাটি লাগার একপর্যায়ে হঠাৎ দুই মাস আগে আপেলের স্ত্রী বাবার বাড়ি গিয়ে আর স্বামীর বাড়িতে আসতে চায় না। কয়েক দিন আগে আপেলের বাবা মা ছেলের বউকে বুঝিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে আনার কয়েকদিনের মাথায় শুক্রবার ভোরে স্ত্রী স্বামী আপেল মিয়ার পুরুষ লিঙ্গ কর্তন করেন। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘাতক স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগী আপেল বলেন, প্রতিদিনের মতো আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। পরে,ভোরবেলায় ব্লেড দিয়ে পোচ মারার সাথে সাথে আমি জেগে উঠলে সে বলতে থাকে এখন কেমন লাগে?
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ হামিদুল হক হিরু বলেন, রোগীর পুরুষ লিঙ্গে সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে সার্জারী ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
আর এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগীর স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।