লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ আফজাল উদ্দিন পাবলিক ভোকেশনাল উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ এনে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যেমে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় সচেতন মহলসহ প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভবক গণ।
প্রধান শিক্ষকাকে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে অস্তিত্ব বিহীন ছাত্র/ছাত্রীদের নাম ব্যবহার করে জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা বরাবর আবেদন করা হয়, যাতে অভিযোগ করা ছত্র/ছাত্রীদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কে সরজমিন গিয়ে তদন্তের দায়িত্ব প্রধান করেন উপজেলা প্রশাসন চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপজেলা প্রশাসন। পরবর্তীতে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, অভিযোগকারী ছাত্র/ ছাত্রীদের প্রতিষ্ঠানে কোন অস্তিত্ব নেই। অভিযোগকারীদের সাথে প্রতিষ্ঠানের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
সরোজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার আফজাল উদ্দিন পাবলিক ভোকেশনাল উচ্চ বিদ্যালয় ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে তদন্ত কমিটি প্রতিষ্ঠান এ তদন্তে গেলে বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী ও কিশোর গ্যাং দ্বারা প্রতিষ্ঠান এর বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর ও প্রধান শিক্ষকা লাঞ্চিত করে, তার ব্যাগ সহ টাকা পয়সা নিয়ে অব্যহতি পত্রে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা চলায় পরবর্তী তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসন কতৃক প্রধান শিক্ষিকা কে উদ্ধার করে। ৩.৩০ মিনটে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে বিকাল ৫.২০ মিনিটে লালমনিরহাট সেনাবাহীনির মোবাইল টিম উক্ত বিষয় জানলে তারা লিপিকা চৌধুরী কে বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরিদর্শন করে পরে অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের ভিডিও চিত্র নিয়ে তাদের আইনের আওতায় নেয়ার আসাস্তো করেন এবং বিদ্যালয়ে নিয়মিত চলবে কেউ কোন সমস্যা করলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে মর্মে জানান , আর প্রতিষ্ঠান প্রদান কোন অনিয়ম দূর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে আইনগন ব্যবস্থা নেবেন কতৃপক্ষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয় নিয়ে আসা হয়।
একটি নিউজে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানে একটি টসর্চার সেল রয়েছে। সরজমিনে তদন্ত করে দেখা যায়, বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ভিত্তিহীন একটি কাল্পনিক। প্রতিষ্ঠানটি সর্বদায় সরকার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নির্দেশ এ সভাপতি পদ নির্বাচিত হয়ে থাকেন। স্বনামধন্য এই আফজাল উদ্দিন পাবলিক ভোকেশনাল উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য সকল সংবাদ কর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। কোন প্রকার ক্ষমতা অপব্যবহার ও কর্মচারী বেতন কর্তন অথবা আটক রাখার মত কোন ঘটনা ঘটেনি। সকলের সম্মিলিত ভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করা হয়ে থাকে।
বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক লিপিকা চৌধুরী বলেন- কোন শিক্ষক/ শিক্ষিকা চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেওয়া হয়নি। আমার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক , বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদটি একান্ত মনগড়া সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ভিত্তিহীন সামাজিকভাবে হেও প্রতিপন্ন করতে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানে কোন প্রকার গাছ কর্তন করা হয়নি বিদ্যালয় সরকারি ভবন নির্মাণের নির্ধারিত স্থানে ঠিকাদার কাজ করার সময় দুই একটি গাছ সরিয়ে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সেই টাকা দিয়ে বেঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। শুরু থেকে বিদ্যালয় নির্মাণ করে দীর্ঘদিন স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র/ ছাত্রী এনে বিদ্যালয় ভর্তি করা হয়েছে। দীর্ঘ এক যুগ পরে বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত হয়েছে। পরবর্তীতে এমপিও করতে সক্ষম হয়েছেন প্রধান শিক্ষক লিপিকা চৌধুরী ।
খোঁজ খবর নিয়ে আরো জানা যায়, প্রধান শিক্ষক লিপিকা চৌধুরী পূর্ব পুরুষ এলাকার বিত্তবান ও ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান নিজের অর্থায়নে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম শুরু করেন। পরবর্তীতে লালমনিরহাট জেলার মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে রূপান্তর করতে সক্ষম হয় এবং ফলাফলের দিক থেকে এগিয়ে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির হিড়িক পড়েছে আফজাল উদ্দিন পাবলিক ভোকেশনাল উচ্চ বিদ্যালয়।
অনুসন্ধানে জানাযায়, প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক লিপিকা চৌধুরী নিয়মিত বিদ্যালয় উপস্থিত থাকেন প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। প্রধান শিক্ষক লিপিকা চৌধুরী সাথে কথা হলে তিনি বলেন গ্রুপিং না করে নোংরা মন-মানসিকতা থেকে বের হয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা সহায়তা করার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।