1. deb442784@gmail.com : Arpita Ded : Arpita Ded
  2. support@dailyhellobangladesh.com : dailyhellobangla :
  3. mdfarukhossain096@gmail.com : faruk faruk : faruk faruk
  4. faruksurjo79@gmail.com : farukahmed Ahmed : farukahmed Ahmed
  5. fojoluddin77@yahoo.com : MdFojluuddn Uddin : MdFojluuddn Uddin
  6. jssksngo@yahoo.com : Mist. Jahanara Jahanara : Mist. Jahanara Jahanara
  7. mafazzalali24@gmail.com : Mafazzal Ali : Mafazzal Ali
  8. somratmr71@gmail.com : Md somrat Md somrat : Md somrat Md somrat
সারা বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন কমবে, বাড়বে দাম - দৈনিক হ্যালো বাংলাদেশ
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন

সারা বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন কমবে, বাড়বে দাম

দৈনিক হ্যালো বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২
  • ৫৬৯ বার পঠিত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অস্থিরতা, সারসহ কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি ও জলবায়ুজনিত কারণে আন্তর্জাতিকভাবে খাদ্যসামগ্রীর উৎপাদন কমে যেতে পারে। এর প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যেতে পারে খাদ্যের দাম। একই সঙ্গে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমসের সুদের হার বাড়ানোর আগ্রাসি নীতির কারণে বিশ্বব্যাপী স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাচ্ছে। বেড়ে যাচ্ছে ডলারের দাম। এই দুইয়ে মিলে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।
ফলে বিশ্বের অনেক দেশে খাদ্য উপকরণের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এতে সাবির্ক মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি খাদ্যের মূল্যস্ফীতির পালেও ‘পাগলা হওয়া লেগেছে’। বিশ্বব্যাপী এ হার গড়ে ১০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত উঠতে পারে। কোনো কোনো দেশে এ হার আরও ৬৮ শতাংশ পর্যন্ত উঠতে পারে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বিশ্বব্যাংক বাজার মনিটর ও আন্তর্জাতিক শস্য কাউন্সিল থেকে তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশ থেকে খাদ্য রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি বাড়িয়েছে। অভ্যন্তরীণভাবে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর দিকেও বিশেষ নজর দিয়েছে। বাংলাদেশেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি রেকর্ড হারে বেড়ে গেছে। গত জুলাইয়ে এ হার ৮ দশমিক ২ শতাংশ। আগস্টে তা ১০ শতাংশের কাছাকাছি হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্য পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার সবচেয়ে বেশি জিম্বাবুয়েতে ৬৮ শতাংশ, দ্বিতীয় অবস্থানে লেবানন ৩৬ শতাংশ, তৃতীয় অবস্থানে ইরান ৩২ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলংকাতে ১৪ শতাংশ, পাকিস্তানে ১৮ শতাংশ, ভারতে সাড়ে ৮ শতাংশ, নেপালে সাড়ে ৭ শতাংশ। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে ১১ শতাংশ।
এতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী খাদ্যেও প্রধান উপকরণ চাল ও ভুট্টার উৎপাদন কমে যাবে। গমের উৎপাদন সামান্য বাড়লে প্রতিকূল আবহওয়া দেখা দিলে তা কমে যেতে পারে। জ্বালানি সরবরাহও কমতে পারে। এতে বৈশ্বিক সংকট আগামী বছরে আরও বাড়বে। বিশেষ খাদ্য সংকট প্রকট হতে পারে। চলতি অক্টোবরে ভুট্টার উৎপাদন ১ দশমিক ২২ শতাংশ, চালের উৎপাদন দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে যাবে। এর সঙ্গে অন্যান্য পণ্যের উৎপাদনও কমতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার সময়ে উৎপাদন কম ও সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। করোনার পর যে কারণে সব পণ্যেও চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়ে গেছে। সে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার আগেই শুরু হয়ে যায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ যুদ্ধের কারণে খাদ্য, ভোজ্য তেল ও জ্বালানির উৎপাদন যেমন কমে যায়, তেমনি সরবরাহও কমে যায়।
কেননা ওই দুটি দেশই বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী দেশ। এতে সরবরাহ সংকটে দাম বেড়ে যায়। রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে গমের সরবরাহ শুরু হলে এর দাম কিছুটা কমছে। কিন্তু এখন এর উৎপাদন কমে যেতে পারে। উৎপাদন কমার কারণে সরবরাহ সংকট হয়ে দাম আবার বেড়ে যেতে পারে।

রাশিয়া ইউরোপীয় দেশগুলোতে জ্বালানির সবচেয়ে বড় সববরাহকারী। রাশিয়া এখন ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ সীমিত করে দিয়েছে। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সার ও কৃষি উপকরণ উৎপাদন হয় ইউরোপের দেশগুলোতে। যে কারণে ওইসব দেশে সার ও কৃষি উপকরণের উৎপাদন কমে গেছে। ফলে এগুলোর সরবরাহ যেমন কমেছে, তেমনি দামও বেড়েছে। এছাড়া ডলারের মূল্যবৃদ্ধিার কারণে আমদানি খরচও বেড়েছে। এসব কারণে প্রায় সব দেশেই কৃষি উৎপাদনের খরচ বেড়ে যাবে। কৃষি উপকরণের দাম বাড়ার কারণে বিশেষ করে ব্যক্তি পর্যায়ে কৃষকের উৎপাদনের সক্ষমতাও কমে যাবে
। এছাড়া জলবায়ুজনিত কারণেও কৃষি উৎপাদন কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় খাদ্য উৎপাদনকারী দেশ পাকিস্তানে বন্যায় কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে দেশটি আরও সংকটে পড়েছে। ইরান, আফগানিস্তান, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, ভারতেও উৎপাদন কমার আশঙ্কা রয়েছে।
সাম্প্রতিক কৃষি বাজার তথ্য সিস্টেম (এএমআইএস) বাজার মনিটরিং অনুযায়ী, অক্টোবরে জ্বালানি, সার খরচ, প্রধান কৃষি পণ্য উৎপাদনকারী দেশগুলিতে খারাপ আবহাওয়া এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ঝুঁকি অভ্যন্তরীণভাবে খাদ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হার বেড়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ দেশই খাদ্যমূল্য বাড়ার মুখোমুখি হচ্ছে। এতে অনেক দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে। এ হার আগামীতে গড়ে ১০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে ছাড়িয়ে যেতে পারে। কয়েকটি দেশে এ হার আরও বেশি হতে পারে। ৪৬টি দেশের স্বল্পআয়ের মানুষ খাদ্য মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হবে।

স্বল্পোন্নত ও মধ্য আয়ের কয়েকটি দেশ খাদ্য নিয়ে বড় ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব খাদ্য নিরাপত্তা বড় ধরনের বাধার মুখে পড়তে পারে বলে প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হয়। এতে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোতেও খাদ্যেও দাম বৃদ্ধির কারণে খাদ্য কেনার সক্ষমতা হারাবে।

যুদ্ধোর পর যেভাবে পণ্যের দাম বেড়েছিল। তা থেকে এখন বেশ কিছুটা কমে এসেছে। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এখনও স্বস্তি আসেনি। নতুন করে নানা উত্তেজনা দেখা দিচ্ছে। এতে খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিছু খাদ্যের দাম ইতোমধ্যেই বেড়ে গেছে।
গত সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক শস্য কাউন্সিল থেকে কৃষি পণ্যেও মূল্যেও যে সূচক প্রকাশ করা হয়েছে, এতে দেখা যায়, শস্য ও তৈলবীজ সূচক ১ শতাংশ কমেছে। ক্রমবর্ধমান মন্দার আশঙ্কায় বিশ্বে গমের রপ্তানি মূল্য গত সেপ্টেম্বরে ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। অথচ আগের কয়েক মাসে তা ১৭ শতাংশ কমেছিল। ভুট্টার দাম আরও বাড়তে পাওে বলে আন্তর্জাতিক শস্য কাউন্সিল পূর্বাভাস দিয়েছে।
তাদের মতে, এর মূল্য সূচক ৩ শতাংশ বাড়তে পারে। সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দামের সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ১ শতাংশ। বিভিন্ন দেশ নিজেদের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করতে চাল রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপসহ রপ্তানি বন্ধ কওে দিয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ কমেছে। এ ধারা চলমান থাকলেও চালের দাম আরও বাড়তে পাওে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দামের সূচক ৩ দশমিক ১ শতাংশ কমলেও যুদ্ধেও পরিস্থিতির ওপর এর দাম নির্ভর করছে।
শীতে ইউরোপে জ্বালানির চাহিদা বাড়ে। কিন্তু সরবরাহ কম। ফলে শীতে জ্বালানির মধ্যে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বাড়তে পারে। এর দাম বাড়লে বৈশ্বিক সংকট আরও প্রকট হবে। কেননা, মানুষের জীবনযাত্রা, শিল্প ও কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত জ্বালানি। এর দাম বাড়লেও সব খাতেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাশিয়া মার্কিন ডলারের বিকল্প মুদ্রায় লেনদেন বাড়ানোর উদ্যোগ নিলেও তাদের রপ্তানি বাড়েনি। ফলে রাশিয়াও ক্রমাগতভাবে অর্থনৈতিক মন্দার দিকে ধাবিত হচ্ছে।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ দৈনিক হ্যালো বাংলাদেশ © গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।
Theme Customized BY Daily Hello Bangladesh
Bengali BN English EN