ভূমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির বিষয়ে ভূমিমন্ত্রীকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান। তিনি বলেছেন, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে অভিযোগ এসেছে, যা দুঃখজনক।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে পীর ফজলুর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জেলায় জেলায় ভূমি অধিগ্রহণের যে সেকশন আছে, সেখানে বড় দুর্নীতির ঘটনাগুলো ঘটে। সরকার অনেক উন্নয়ন করছে। এ জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করতে হচ্ছে। সেখানে দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকের তথ্য তুলে ধরে পীর ফজলুর রহমান বলেন, ৫ জুলাইয়ের পত্রিকা যদি দেখেন, মানিকগঞ্জে সরকারি প্রকল্পে অধিগ্রহণের আগেই জমি কিনে নেন মন্ত্রী ও তার ছেলেমেয়ে। জমি অধিগ্রহণের সময় শতকোটি টাকা বাড়তি নিতে প্রকল্প পাসের আগেই জমি ক্রয় এবং কৌশলে দলিল মূল্য বৃদ্ধি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি হচ্ছে সরকারি ওষুধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান এসেন্সিয়াল ড্রাগসের মানিকগঞ্জে কারখানা স্থাপন। সেখানে দুঃখজনক আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে সংবাদপত্রে, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভূমি ক্রয় করেছেন ৬ দশমিক ৩৯ একর, ছেলে কেনেন ৩ দশমিক ১২ একর, মেয়ে কেনেন ১১ দশমিক ১৪ একর, আরেক ফুফাতো ভাই কেনেন ৫ দশমিক ৫৪ একর।
পীর ফজলুর রহমান বলেন, এর আগে কক্সবাজারেও ভূমি অধিগ্রহণ কার্যালয়কে দুর্নীতির হাট বলে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। খবরে প্রকাশিত হয়েছিল সেখানে ১৫ শতাংশ কমিশন নেওয়া হয়েছে।
ভূমিমন্ত্রীকে এসব দুর্নীতির বিষয় খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভূমিমন্ত্রী অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয় চালাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। সেখানে এসব দুর্নীতি ও লজ্জাজনক ঘটনা যাতে না ঘটে, আশা করি সেদিকে ভূমিমন্ত্রী দৃষ্টি দেবেন।