হজ করতে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। মিনায় রাস্তায় পথ ভুলে নিখোঁজ হন তিনি। নিখোঁজের পাঁচ ঘণ্টা পর সরকারি দলের সহায়তায় তাকে খুঁজে বের করা হয়। ২৭ জুন মঙ্গলবার নিখোঁজ ও উদ্ধারের এ ঘটনা ঘটে। এর কারণ হিসাবে জানা যায়, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলায় একই সঙ্গে থাকা পানি উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমসহ অন্যদের হারিয়ে ফেলেন। ৩০ জুন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চারজন মন্ত্রীসহ ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর খোঁজ করছিলেন সরকারের প্রতিনিধিদলের প্রায় সাড়ে ৫০০ সদস্য। পরে ৫ ঘণ্টা পর খোঁজ মেলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের। সূত্র জানায়, হারিয়ে যাওয়া হাজিদের খুঁজে বের করতে সার্বক্ষণিক কাজ করছে সৌদি হজ অফিস, বিভিন্ন হজ এজেন্সি এবং তাদের সংগঠন হাব।
শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, প্রতিবছরই এমন ঘটনা ঘটে। তাই এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে হজ করতে যাওয়া হাজিদের আত্মীয়স্বজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। তিনি বলেন, দুই শতাধিক হাজি হারিয়ে যাওয়ার তথ্য আমরা পেয়েছিলাম। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ হাজিকে খুঁজে বের করে দুই এক ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ৫৫ জন হাজির খোঁজ মেলেনি। দ্রুত সময়ে তাদের পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
হজে গিয়ে ৪৮ বাংলাদেশির মৃত্যু : সৌদি আরবে এবার হজ পালনে গিয়ে মক্কা-মদিনা, তাবু শহর মিনা মুজদালিফা ও আরাফাতে ৪৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। সৌদি আরবে এ বছর তীব্র গরমে পবিত্র হজ পালিত হয়েছে। এর মধ্যে হিটস্ট্রোকের শিকার হয়েছেন সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি হজযাত্রী। এদিকে একদিনেই ৮ বাংলাদেশি হাজির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এবার হজে যাওয়া লক্ষাধিক বাংলাদেশির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সৌদিতে অবস্থানকালে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে তাদের মৃত্যু হয়।
হজ এজেন্সিস মালিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বৃহস্পতিবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হাব সভাপতি ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, ২৯ জুন সৌদি আরবে মোট মৃত বাংলাদেশি হাজির সংখ্যা ৪৮ জন। এর মধ্যে একদিনেই ৮ জন মারা গেছেন।
এদিকে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ২৯ জুন আমিরাতভিত্তিক দৈনিক গালফ নিউজের খবরে বলা হয়, হজের মোট তিন দিনে মক্কার প্রচণ্ড তাপ ও গরমে হিটস্ট্রোকের শিকার হয়েছেন সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি হজযাত্রী। এর বাইরে ৩৯ দিনে অন্তত এক লাখ ১১ হাজার ৭৬১ জন হজযাত্রী তীব গরমজনিত কারণে অসুস্থতার শিকার হয়ে হাসপাতাল এবং অস্থায়ী স্বাস্থ্য শিবিরগুলোয় চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. মোহম্মদ আল আবদুল আলী।