খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ- খুলনায় আগামী ১২ নভেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় মৌমাছি ও মধু সম্মেলন-২০২২। মৌমাছি ও মধু সম্মেলন-২০২২ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা প্রেসক্লাব হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মৌমাছি ও মধু জোটের সভাপতি মধু গবেষক সৈয়দ মোহাম্মদ মঈনুল আনোয়ার জানান, এদেশের মৌয়াল, চাষী, বণিক, গবেষক ও ভোক্তাদের একই ময়দানে একীভূত হয়ে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টির দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এবং এতদ সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণা ও সঠিক তথ্য তুলে ধরা এবং সবার মাঝে তা ছড়িয়ে দেবার উদ্দেশ্যে ২০১৯ সালে মৌমাছি ও মধু জোটের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে প্রায় ১৩০০০ সদস্য বিশিষ্ট এই জোটটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মৌমাছি ও মধু বিষয়ক সচেতনতা, সমাজে প্রচলিত মধু বিষয়ক ভুলধারণা দূরীকরণ এবং গবেষক, চাষী, উৎপাদক, ব্যবসায়ী ও ভোক্তার সেতুবন্ধন ও সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রদর্শনী, সভা, সেমিনার, মধু মেলা, সুন্দরবনে হানি ট্যুরিজম ইত্যাদি ফলপ্রসূ কার্যক্রমের আয়োজন করে আসছে। করোনাকালীন বিপর্যয়ের সময় ওয়েবেনিয়ার, প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের কর্মী, দাফন-কাফনে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, পুলিশ, হাসপাতালের ডাক্তার ও রোগীদের বিনামূল্যে মধু বিতরণ কর্যক্রমের মাধ্যমে জাতীয় বিপর্যয়ে সেবামূলক ভূমিকা পালন করেছে। মৌমাছি ও মধু জোটের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভিত্তিক জোড়ালো কার্যক্রমে একদল চৌকস উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশীয় মধুর সঠিক বিপণন এবং বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনীতিতে সুপ্রভাব বিস্তারে ভুমিকা রাখছে। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বন বিভাগ, পর্যটন কর্পোরেশন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিসিক, বিএসটিআই, এলিট ফোর্স জঅই, বিসিএসআইআর, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদির সাথে মৌমাছি ও মধু সম্পৃক্ততা তৈরি করার জন্য অনুঘটকের ভুমিকা পালন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১২ নভেম্বর (শনিবার) নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ খুলনা কনভেনশন সেন্টারে ৩য় জাতীয় সম্মেলন ২০২২ অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। সম্মেলনে বিএসটিআই লাইসেন্স, হালাল সার্টিফিকেট, ন লাইসেন্স এর গুরুত্ব এবং পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যা মধু ব্যবসায়ীদের অনুপ্রাণিত করবে এবং রাজস্ব বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। মানসম্পন্ন মধু সংগ্রহের মাধ্যমে খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত বিষয়ে দিকনির্দেশনা আলোচ্য বিষয়বস্তু হিসেবে থাকবে। সুন্দরবন হতে বন বিভাগের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ ও বিপণন বিষয়ক কর্মপদ্ধতির আলোচনা হবে। সুন্দরবন হানি ট্যুরিজম এর মাধ্যমে মধু ও মৌমাছি পর্যটন শিল্পে সংযুক্তি, রাজস্ব বৃদ্ধি ও সুদুরপ্রসারি সম্ভবনার বিষয় আলোচনা হবে। হাতে কলমে সংক্ষিপ্ত মৌচাষ পদ্ধতি শিক্ষা কার্যক্রম আলোচনা হবে।