দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ জনসাধারণের উন্নত জীবনমান নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানির সরবরাহ সর্বাগ্রে প্রয়োজন। এ উপলব্দি থেকে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহু সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য প্রথমেই তিনি জ্বালানি খাতকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এই ধারাবাহিকতায় তিনি রাষ্ট্রের মালিকানায় ৫টি গ্যাস ক্ষেত্র ক্রয় করেন। বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থানীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি গতকাল বিকেলে বাহুবল উপজেলার রশিদপুর গ্যাসফিল্ডে “জ্বালানী নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধুর অবদান” শীর্ষক স্মৃতিফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের জ্বালানী নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী সিদ্ধান্তগুলোর ফলে বিদ্যুৎ জ্বালানি ক্ষেত্রে দেশ আজ সমৃদ্ধ। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত উদ্যোগের বিভিন্ন উদাহারণ টানেন তিনি। এমপি আবু জাহির বলেন, ৯৬ সনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ২ হাজার ৬শ’ হাজার মেগাওয়াট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪ হাজার মেগাওয়াট করেছিল। এরপর বিএনপির আমলে তারেক রহমানের খাম্বা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কারণে তা কমে ৩ হাজারে নামে। পরে ফের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে তা ২৭ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার ২০২৩ সালে ৪০ হাজার এবং ৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রধান অতিথি থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি উপস্থিত হননি। এমপি আবু জাহিরসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ প্রধান অতিথির পক্ষ থেকে স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ও স্বাগত বক্তব্য রেখেছেন এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান।
হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ, বাহুবল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন ফাতেমাসহ কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।