ফারুক আহমেদ সূর্য, স্টাফ রিপোর্টারঃ লালমনিরহাট

লালমনিরহাটে ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে- আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালে লালমনিরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে (নতুন) এ লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

লালমনিরহাট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছাঃ আফরোজা খাতুন-এঁর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ উল্যাহ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার লালমনিরহাট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, লালমনিরহাট সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. সফুরা বেগম রুমি, ক্যাপটেন (অবঃ) বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক বীর প্রতীক, সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায়, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ বাদল আশরাফ, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন,লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজনসহ এ সময় বিভিন্ন দপ্তরের সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।।

এসময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কবিতা আবৃত্তি করছেন কবি ও কথাসাহিত্যিক, সমাজসেবক ফেরদৌসী বেগম বিউটি, জেলা তথ্য অফিসার মামুনুর রশীদ, কবি ও সাংবাদিক ফারুক আহমেদ সূর্য।

এসময় বক্তারা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর উপর খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা তুলে ধরে বলেন ১৫ আগস্ট । জাতীয় শোক দিবস । ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সবাইকে নৃশংস হত্যা করা হয় ‌। তাই জাতীয় জীবনে এটা একটা কলঙ্কের দিন । দুঃখ ও পরিতাপের দিন । যে নেতার হাত ধরে বাঙালি জাতি পেলো স্বাধীনতা সেই নেতাকেই পরপারে পাঠানো হলো । প্রতিবছর এই দিবসটিকে রাষ্ট্রীয় ভাবে পালন করা হয় । বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা দেশব্যাপী আয়োজন করে নানা অনুষ্ঠানের ।

এর আগে সকাল নয়টায় জাতির পিতার মুরালে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন পুষ্পমাল্য অর্পণের সাথে সাথে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সহ জেলা পুলিশ,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লালমনিরহাট জেলা শাখা, সাহিত্য সংস্কৃতির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতন। তারপর এক মিনিট নিরবতা, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতর শেষে মূল অনুষ্ঠানে সকল অতিথি মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।