1. deb442784@gmail.com : Arpita Ded : Arpita Ded
  2. support@dailyhellobangladesh.com : dailyhellobangla :
  3. mdfarukhossain096@gmail.com : faruk faruk : faruk faruk
  4. faruksurjo79@gmail.com : farukahmed Ahmed : farukahmed Ahmed
  5. fojoluddin77@yahoo.com : MdFojluuddn Uddin : MdFojluuddn Uddin
  6. jssksngo@yahoo.com : Mist. Jahanara Jahanara : Mist. Jahanara Jahanara
  7. mafazzalali24@gmail.com : Mafazzal Ali : Mafazzal Ali
  8. somratmr71@gmail.com : Md somrat Md somrat : Md somrat Md somrat
প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে সর্বস্ব লুট ও ভুয়া ডিবি ও সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা আদায় চক্রের মূল হোতাসহ গ্রেফতার ০৭। - দৈনিক হ্যালো বাংলাদেশ
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে সর্বস্ব লুট ও ভুয়া ডিবি ও সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা আদায় চক্রের মূল হোতাসহ গ্রেফতার ০৭।

দৈনিক হ্যালো বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • প্রকাশিত : রবিবার, ৫ মে, ২০২৪
  • ১০২ বার পঠিত

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি।

বাদী ফখরুল ইসলাম (২১), পিতা-আবদুল মমিন, গ্রাম-বড়বিজরা, পো- বড়বিজরা, উপজেলা- লাকসাম, জেলা- কুমিল্লা গত অনুমান ০৪(চার) মাস যাবৎ উপলব্ধি করছেন যে বাদীর বাবা জনাব আবদুল মমিন(৬০) এর ব্যবহৃত মোবাইল নং-০১৭৬০-৯০৫৭৯০ তে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মোবাইল নং-০১৩২২-২০০১২৮ থেকে ফোন আসলে উনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। মোবাইল ফোনে থাকা লোকটি নিজেকে কুমিল্লা ডিবি পুলিশের সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। বিষয়টি নিয়ে বাদী খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে পুলিশ সুপার কুমিল্লা মহোদয় বরাবর অভিযোগ প্রদান করেন।

উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার, কুমিল্লা মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক এ্যান্ড ডিবি) এর তত্তাবধানে ও অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা এর প্রত্যক্ষ নেতৃত্তে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় জানতে পারে যে, স্থানীয় একটি প্রতারক চক্র আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যক্তিদের টার্গেট করে চক্রের সুন্দরী মহিলাদের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্পর্কের একপর্যায়ে ঘনিষ্ঠ সময় কাটানোর ভিডিও চিত্র ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে ঐ ব্যক্তির সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়। উক্ত চক্রটি টার্গেট করে ভিকটিম মোঃ আব্দুল মমিনকে। একপর্যায়ে চক্রের সদস্য তরুনী তাসনুবার মাধ্যমে ভিকটিমকে প্রেমের ফাঁদে ফেলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৩/০১/২০২৪খ্রিঃ তারিখ অনুমান ১৫:০০ ঘটিকার সময় প্রতারণার চক্রের দুই সদস্য তাসনুবা ও মোজাম্মেল এর পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসাবে শারিরীক সম্পর্কের প্রলোভনে ভিকটিমকে সম্মোহিত করে নিয়ে যায় কোতয়ালী থানাধীন বালুতুপা গ্রামের মোঃ কবির হোসেন এর বাড়ীতে। যেখানে পূর্ব হতেই নির্ধারিত থাকে একটি নির্দিষ্ট রুম ও অনৈতিক কাজের ভিডিও ধারণের জন্য মোবাইল ফোন ক্যামেরা। ধারণ করা হয় ভিকটিম ও প্রতারনা চক্রের নারীা সদস্য তাসনুবার অশ্লীল ও অনৈতিক কাজের ভিডিও চিত্র। ধারণকৃত ভিডিও চিত্রের ভয় দেখিয়ে এবার শুরু হয় প্রতারনা চক্রের নতুন খেলা। ঘটনাস্থলে ডিবি পরিচয়ে আগমন ঘটে প্রতারনা চক্রের অপর দুই সদস্য মাস্টার মাইন্ড আয়াত উল্লাহ ও আব্দুর রহিমের। তাদের সঙ্গে থাকে বাসা(রুম) ঠিক করে দেওয়া ইমরান হোসেন ও বাসার মালিক কবীর হোসেন। শুরু হয় ভিকটিমকে অমানবিক শরীরিক নির্যাতন। ভিকটিমকে থানায় মামলা দেওয়ার ভয়-ভীতি ও যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে অনৈতিক ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে হাতিয়ে নেওয়া হয় ভিকটিমের কাছে থাকা নগদ ৩০,০০০ টাকা, গ্রহন করা হয় চক্রের দেওয়া ০৭ টি খালি স্ট্যাম্পে ভিকটিমের স্বাক্ষর। এতেও চক্রটি ক্ষান্ত না হয়ে ভিকটিমকে মামলায় জড়ানো ও প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে ভিকটিমের কোম্পানীর ম্যানেজারের মাধ্যমে ভিকটিমের স্বাক্ষরিত ০৭ টি চেক ও নগদ ২,০০,০০০ টাকা চাঁদা আদায় করে। পরবর্তীতে আরো ৫০,০০,০০০ টাকা চাঁদা দেওয়ার শর্তে ভিকটিমকে ছেড়ে দেয়।

ঘটনার এখানেই শেষ নয়, এবার শুরু হয় প্রতারণা চক্রের আরেক কুশীলব মোজাম্মেল হকের নতুন খেলা। মোজাম্মেল হক নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে শুরু করে ভিকটিমকে নতুন করে ব্ল্যাকমেইল। ব্ল্যাকমেইল করে চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে ভিকটিমের অনৈতিক ভিডিও দিয়ে তৈরি করা হয় “কাল সময়” নামক টিভি নিউজ, যা কোন মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি। উক্ত নিউজ ভিকটিমের ছেলের মোবাইলে প্রেরণ করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দাবী করা হয় মোটা অঙ্কের চাঁদা। ভিকটিমের ছেলে বাবার সম্মানের কথা চিন্তা করে এবং অন্য কোন উপায়ান্তর না পেয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিমানে উক্ত প্রতারক চক্রকে নগদ টাকা ও বিকাশের মাধ্যমে সর্বমোট ২৯,৮০,০০০ টাকা চাঁদা প্রদান করে। এরপরেও প্রতারক চক্রটি ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিক পরিচয়ে ভিকটিমকে ব্ল্যাকমেইল, মামলার ভয় ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আরো চাঁদা দাবি অব্যাহত রাখে। ভিকটিমকে ভয়-ভীতি প্রদর্শণ ও ব্ল্যাকমেইল একপর্যায়ে জেলা গোয়েন্দ শাখার তদন্তকারী টিম মোবাইল নং-০১৩২২-২০০১২৮ এর ব্যবহারকারী সৈয়দ আয়াত উল্লাহ (৩৭) কে সনাক্তপূর্বক কুমিল্লা কান্দিরপাড় টাউন হল এর সামনে রাস্তার উপর হতে অদ্য দিবাগত রাত ০১:৩০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সে ভিকটিমকে ভয় দেখিয়ে অধিক চাঁদা আদায়ের জন্য নিজেকে ডিবি সদস্য বলে পরিচয় দেয় ও তার হেফাজত হতে অলিখিত ৭টি স্ট্যাম্প, ভিকটিমের স্বাক্ষরিত ০৭টি চেক ও অপরাধে ব্যবহৃত মোবাইল নং- ০১৩২২-২০০১২৮ সিমসহ ০১টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ও তার অন্যান্য সহযোগী মোজাম্মেল হক (৩৬), মোঃ আবদুর রহিম (৪২) ও মোঃ শাখাওয়াত হোসেন (২৮) এর নাম প্রকাশ করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর দেওয়া তথ্য মতে আসামী ভুয়া সাংবাদিক মোজাম্মেল হক (৩৬) ও মোঃ আবদুর রহিম (৪২) কে কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানাধীন নিজ গ্রামস্থ আসামীদের নিজ বাড়ী হতে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে ভিকটিমের অনৈতিক ভিডিও দিয়ে অধিক চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে ‘‘কাল সময়” নামক টিভি নিউজ তৈরি করে । মোজাম্মেলের দেওয়া তথ্যমতে আসামী মোঃ শাখাওয়াত হোসেন (২৮) কে লাকসাম থানাধীন বড়বিজরা গ্রামস্থ আসামীর নিজ বাড়ী হতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শাখাওয়াত হোসেন এর দেওয়া তথ্য মতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামী মোঃ ইমরান হোসেন (৪০) কে ও কবির হোসেন (২৮) কে কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন বালুতুপা গ্রামস্থ নিজ নিজ বাড়ী হতে একই তারিখ রাত ০৪:৩০ ঘটিকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ ইমরান হোসেন এর হেফাজত হতে নগদ ২৪,০০০ টাকা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। পূর্বের গ্রেফতারকৃত আসামী আয়াত উল্লাহ ও আসামী মোঃ শাখাওয়াতের দেওয়া তথ্য মতে অপর পরিকল্পনাকারী আসামী ও প্রতারক চক্রের একমাত্র নারী সদস্য তাসনুবা আক্তারকে কুমিল্লা চান্দিনা থানাধীন কেশরা গ্রামস্থ নিজ বাড়ী হতে একই তারিখ ভোর ০৫:৩০ ঘটিকায় গ্রেফতার করা হয়।

আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা স্বীকার করে যে, তাঁরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণাপূর্বক প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করে। এক্ষেত্রে তাঁরা ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিকের ভুয়া পরিচয় প্রদান করে। এক্ষেত্রে উক্ত প্রতারক চক্র ভিকটিম হিসেবে ধনী ব্যক্তিদের টার্গেট করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম,ঠিকানা ও পিসিপিআরঃ-
১। সৈয়দ আয়াত উল্লাহ (৩৭), পিতা- সৈয়দ আব্দুর রউফ, গ্রাম- সুবর্নপুর (সৈয়দ বাড়ী), থানা- কোতয়ালী মডেল, জেলা- কুমিল্লা। (ভুয়া ডিবি পুলিশ)
২। মোঃ মোজাম্মেল হক (৩৬), পিতা- মোঃ আব্দুল মালেক, গ্রাম- শ্রীপুর, থানা- বরুড়া, জেলা- কুমিল্লা। (ভুয়া সাংবাদিক)
উল্লেখ্য যে উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে পূর্বের ০৭টি মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
৩। মোঃ শাখাওয়াত হোসেন (২৮), পিতা- মোঃ মোস্তফা কামাল, গ্রাম- বড় বিজরা, থানা- লাকসাম, জেলা- কুমিল্লা।
(চাঁদা আদায়কারী)
৪। মোঃ আব্দুর রহীম (৪২), পিতা- মোঃ আলী আজগর, গ্রাম- গালিমপুর, থানা- বরুড়া, জেলা- কুমিল্লা।
(ভিডিও ধারণের পরিকল্পনাকারী)
উল্লেখ্য যে উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে পূর্বের ০১টি মারামারির মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
৫। তাসনুবা আক্তার (২৩), পিতা- মৃত শফিকুল ইসলাম, গ্রাম- কেশরা, থানা- চান্দিনা, জেলা- কুমিল্লা। (মাস্টার মাইন্ড)
৬। মোঃ ইমরান হোসেন (৪০), পিতা- মোঃ ইসহাক মিয়া, গ্রাম- বালুতুপা, থানা- কোতয়ালী মডেল, জেলা- কুমিল্লা।
(ভুয়া ডিবি পুলিশ)
৭। মোঃ কবীর হোসেন (২৮), পিতা- মৃত আব্দুল মান্নান, গ্রাম- বালুতুপা, থানা- কোতয়ালী মডেল, জেলা- কুমিল্লা। (বাসার মালিক)

উদ্ধাকৃত মালামালের বিবরণঃ-
১। ভিকটিমের স্বাক্ষরীত ০৭টি অলিখিত স্ট্যাম্প।
২। ভিকটিমের স্বাক্ষরীত ০৭ টি চেক।
৩। সিমসহ ০১টি বাটন ফোন।
৪। নগদ ২৪,০০০ টাকা।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ দৈনিক হ্যালো বাংলাদেশ © গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।
Theme Customized BY Daily Hello Bangladesh
Bengali BN English EN