1. deb442784@gmail.com : Arpita Ded : Arpita Ded
  2. support@dailyhellobangladesh.com : dailyhellobangla :
  3. mdfarukhossain096@gmail.com : faruk faruk : faruk faruk
  4. faruksurjo79@gmail.com : farukahmed Ahmed : farukahmed Ahmed
  5. fojoluddin77@yahoo.com : MdFojluuddn Uddin : MdFojluuddn Uddin
  6. jssksngo@yahoo.com : Mist. Jahanara Jahanara : Mist. Jahanara Jahanara
  7. mafazzalali24@gmail.com : Mafazzal Ali : Mafazzal Ali
  8. somratmr71@gmail.com : Md somrat Md somrat : Md somrat Md somrat
শিশির ভেজা ঘাসে শীতের আগমনী বার্তা!! - দৈনিক হ্যালো বাংলাদেশ
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন

শিশির ভেজা ঘাসে শীতের আগমনী বার্তা!!

দৈনিক হ্যালো বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • প্রকাশিত : বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২
  • ৫০৬ বার পঠিত

তন্ময় দেবনাথ রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

হেমন্তের তপ্ত দুপুরে সূর্যের গনগনে রোদ শেষে যখন রাত্রি নামে আর তখনই শরীরে হালকা শীতল বায়ুর ছোঁয়া দিয়ে যায়। রাত শেষের সময় এ শীতলতা আরো বেড়ে গিয়ে বার্তা জানান দেয় শীতকে। দূর্বা ঘাসে কিংবা ধানের কচি ডগায় মুক্তার মতো আলো ছড়িয়ে ভোরের শিশির জানান দিচ্ছে শীত আসছে। ভোর সকালে পড়তে শুরু করেছে হালকা শিশির। সেই সাথে অনুভূত হচ্ছে মৃদু ঠান্ডা। প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে এ অঞ্চলে শীতের আগমন ঘটলেও এবার কার্তিক মাসের শুরুতইে শীতের আগমন ঘটেছে।

“হেমন্ত তার শিশির ভেজা আঁচল তলে শিউলি বোঁটায়, চুপে চুপে রং আকাশ থেকে ফোঁটায় ফোঁটায়।” কবি সুফিয়া কামালের লেখা ‘হেমন্ত’ কবিতায় বাংলার হেমন্তের রূপ নিবিড়ভাবে ধরা দিয়েছে প্রকৃতিতে।

ঠিক তেমনি শরৎ শেষে হেমন্তের বর্তমান চেহারা যেন বলে দিচ্ছে ঘটেছে ঋতুর পালাক্রম। ঠিক কবির নিপুণ হাতে লেখা কবিতার চরণের মতো। ক্লান্ত দুপুরে সোনাঝড়া রোদের পাশাপাশি সকাল সন্ধ্যায় ঘাসের ডগায় জমা শিশির বিন্দু, হিম বাতাস ও কুয়াশার উপস্থিতি এই বার্তাই দিচ্ছে কার্তিকের হাত ধরে চলে এলো নবান্নের ঋতু হেমন্ত। শুধু রাজশাহী নয় বরং সারা বাংলার প্রকৃতির চিত্র এমনই।

শিশির ভেজা ঘাস জানান দিচ্ছে শীত আসছে। রাজশাহীর প্রতিটি মাঠে চোখ মেললেই দেখা যায় ঘাস ও ধানের কচি ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দু। সেই সঙ্গে অনুভ‚ত হচ্ছে হিমেল হাওয়া। যেন হেমন্ত তার প্রকৃতির সবটুকু উজাড় করে বিলিয়ে দিচ্ছে।

এটা ঠিক, ঋতুবৈচিত্রের অনিবার্য প্রভাবে বাংলায় শীত আসবেই। তবে বাঙালির জীবনে শীতের আগমন অমিশ্র অনুভূতি নিয়ে আসে। ঠিক বসন্ত বা শরতের মতো আমরা তাকে আবাহন করি না। শীতে বাংলার রূপ বদলায় নিজস্ব রীতিতে। হেমবরণী হেমন্ত হিমেল হাওয়ায় উপস্থাপন করে শীতের নাচন। তার আগমনীকে মধুর আমেজের সূর্যরশ্মির সঙ্গে মিলিয়ে দেয় সকালের সোনারোদ। কুয়াশা নামের প্রকৃতিক চাদরে ঢাকা পড়ে সবুজে ভরা প্রান্তর। বাজারে নতুন নতুন শাক-সবজি, সাতসকালে খেজুর রস, গৃহিণীর কুমড়ো বড়ি দেওয়ার তোড়জোড়, রাস্তার ধারে পিঠা বিক্রি। এ সবকিছুই শহরের শীতকালকেই উপস্থাপন করে।

শীতের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার আবহমান সংস্কৃতি চর্চাও। শীত মানেই যেন উৎসব! কবিগান, জারিগান, সারিগান, পুতুলনাচ, সার্কাস, যাত্রাপালা, নাট্যমেলা আরও কত কী? সবগুলোরই আসর যেন পূর্ণতা পায় শীতের রাতে। মাঘী পূর্ণিমার উল্লাস সেও তো হিম সমীরণ থেকে বেরিয়ে আসা অনবদ্য নিসর্গের চিত্রপট। এতসব রূপকল্পের মাঝেও শিশির বিন্দুর নিঃশব্দ পতনের মতো প্রত্যাশা পৌষ মাসে কারো যেন সর্বনাশ না হয়।

তবে শীতে নানা উৎসব হলেও খেয়ে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। গরম কাপড়ের অভাব আর প্রচন্ত শীতে এসব মানুষের বড় অংশই কষ্ট করেন এ সময়। জলবায়ুগত কারণে প্রতি বছর গরম যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর পাশাপাশি শীত বাড়ছে তীব্রভাবে। বিশেষ করে নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি পুরো সময় জুড়ে দেশের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের মানুষ ব্যাপক শীতে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে চলে। আর এসব মানুষের কিছূটা কষ্টের ভাগ নিতে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন এক শ্রেণির মানুষ। যারা প্রতি বছর কোন না কোনভাবে এসব মানুষের নানাভাবে সহযোগীতা করে।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ দৈনিক হ্যালো বাংলাদেশ © গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।
Theme Customized BY Daily Hello Bangladesh
Bengali BN English EN