সিরাজগঞ্জে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন,২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০১৯ এ বর্নিত জিগ-জ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তি এবং কয়লা সংকট সমাধানের জন্য ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
গতকাল রবিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০ টা সিরাজগঞ্জ জজ কোর্ট চত্বরে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে জেলার প্রত্যেক ইট ভাটা মালিক সমিতি ও শ্রমিকেরা জিগ-জ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র, লাইসেন্স প্রাপ্তি ও কয়লা সংকট সমাধানের জন্য এবং ইট ভাটা চালু রাখার দাবিতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও মানববন্ধন শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সিরাজগঞ্জ গনপতি রায় এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
জেলার সকল ইট ভাটার শ্রমিকরা জানান, ইট ভাটা বন্ধ হলে, কাজ দিবে কে? কর্ম করে সংসার চালাই, যদি ইট ভাটা বন্ধ হয় তাহলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। আমাদের দাবি ইট ভাটা চালু রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি। সিরাজগঞ্জ জেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সদস্য ও রায়গঞ্জ ইটভাটা মালিক সমিতির উপদেষ্টা এমদাদুল হক এমদাদ বলেন, আমাদের ইট ভাটার মালিক সমিতির মালিকদের দোষ কোথায়, জেলায় মোট বৈধ ১৪০টি ইটভাটা রয়েছে, রাজস্ব খাত, ইনকাম ট্যাক্স,নিয়ম কানুন মেনেই ইট ভাটা পরিচালনা করি। এছাড়াও শ্রমিকদের কর্মসংস্থান গড়ে তোলা হয়েছে। আমাদের ইট ভাটা বন্ধ থাকলে শ্রমিকসহ ভাটার মালিকেরা বিশাল হুমকির মুখে সম্মুখীন হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন,কয়লা নেই, এলসি নেই, জালানি সংকট সমাধানে ও ভাটা চালু রাখার দাবিতে আমরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছি। ২০৩০ সাল পর্যন্ত জিগ-জ্যাগ ইট ভাটা পরিচালনার অনুমোদন চাই।
সিরাজগঞ্জ জেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা তালুকদার বলেন, জেলায় ৫০ হাজার এর মতো শ্রমিক কাজ করে তারপরও ছাড়পত্র দেওয়া হয় না কিন্তু ভ্যাট,ইনকাম ট্যাক্স আদায় করে। কয়লা আমদানিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কয়লা সংকট দুর করতে হবে। কুচক্রী মহলের কোন পরামর্শ না নিয়ে দেশের জনগণের স্বার্থে, শ্রমিকের স্বার্থে আমাদের দাবি সুনিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।