তন্ময় দেবনাথ
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি।
রাজশাহীর বাঘায় মেয়ে জামাই এর আঘাতে আহত হয়েছে শশুর। এঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের মকবুল খাঁ এর ছেলে শরিফ আলীর (৩৫) সাথে বলে অভিযোগে জানাযায়।
অভিযোগে জানাযায়, দুই বছর আগে মেয়ে সূবর্নার বিয়ে দিয়েছিল মনিগ্রাম ইউনিয়ন এর বিনোদনপুর (নতুন পাড়া) আহম্মেদ আলীর ছেলে আশিকের সঙ্গে। তাদের আট মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে বিয়ের দুই মাস যেতে না যেতেয় শুরু হয় যৌতুকের দাবিতে সংসারে অশান্তি। সূবর্নার স্বামী আশিক মাঝেমধ্যেই যৌতুকের টাকার জন্য মারপিট করে তাকে। গত শুক্রবার ( ২৩ ডিসেম্বর) রাতে তাকে মেরে বাচ্চা সন্তানটিকে কেরে নেই এবং তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তাকে রাত্রি যাপন করতে হয় অন্যর বাসায়। খবর পেয়ে পরের দিন সকালে পিতা শরিফ যায় মেয়ে জামাইয়ের বাড়ি। এর পর তিনি মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের যানান বিষয় টি। গ্রাম্য সালিশি বৈঠকের মধ্যে উত্তেজিত হয়ে জামাই আশিক স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে তার মাথায় ও পিঠে সজোরে আঘাত করে। ঘটনার স্থান থেকে পালিয়ে যায় আশিক। পরে মেয়ে সুবর্ণা ও শরিফ কে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে একাধিক বার আশিকের মুঠো ফোনে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সুবর্ণা জানায়, ২ বছর আগে বিয়ে হয় আশিকের সাথে, তাদের ৮ মাসের একটি কন্যা সন্তানও আছে। তিনি জানান বিয়ের দুই মাস
যেতে না যেতেই শুরু হয় যৌতুকের জন্য অত্যাচার এবং বিভিন্নভাবে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে আশিক এমনকি যৌতুক না দিলে ৮ মাসের বাচ্চাকে হত্যা করার হুমকিও দেয় আশিক।
আহত শরিফ বলেন, মেয়েকে মারধর ও বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার জন্য পরের দিন সকালে জামাইয়ের বাড়িতে গেলে লোকজন নিয়ে শালিশী বৈঠকের সময় হাতের স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে সজোরে আঘাত করে পালিয়ে যায় আশিক। এ বিষয়ে বাঘা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।