বাঙালি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছেন শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক। দক্ষিণাঞ্চলের বরিশালে এই মহান নেতা জন্মগ্রহণ করেন। অবিভক্ত ভারতবর্ষে তিনি প্রথম বাঙালি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কিংবদন্তি এই রাজনৈতিক নেতা। উপমহাদেশের শিক্ষা বিস্তারে রেখেছেন অসামান্য অবদান। এই মহান নেতার রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবন সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে ধারণা দিতে গতকাল ১৯ জুন বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ ইকোনোমিকাল রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ” উপমহাদেশের শিক্ষা বিস্তারে শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের ভূমিকা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আতাউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমান। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও অভিনেতা পীরজাদা শহিদুল হারুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার, বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম রাজু আহমেদ, নজরুল গবেষক এম মনজুরুল হক, মানবাধিকার কর্মী ডঃ মেহেরুন্নেসা কবির।
কক্সবাজারের পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখায় পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ ইউনুসসহ ২০ জন গুণী ব্যক্তি কে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও থানার ১ নং ইসলামপুর ইউনিয়নে মোহাম্মদ ইউনুস বসবাস করেন।
ইউনুস তার অনুভূতিতে বলেন, পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা তৈরিতে কাজ করছি। আগামীতে সামর্থ্য অনুযায়ী কক্সবাজার জেলার প্রত্যেকটি এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও পাহাড় রক্ষায় কাজ করব।
আলোচনায় সভায় বক্তারা বলেন, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক উপমহাদেশের শিক্ষা বিস্তারে যে অবদান রেখেছেন যার উপর ভিত্তি করে আজকের এই বাংলাদেশ। বর্তমান সময়ের যে শিক্ষানীতি আরো যুব উপযোগী এবং কর্মসংস্থান মুখী করতে হবে।