1. deb442784@gmail.com : Arpita Ded : Arpita Ded
  2. support@dailyhellobangladesh.com : dailyhellobangla :
  3. mdfarukhossain096@gmail.com : faruk faruk : faruk faruk
  4. faruksurjo79@gmail.com : farukahmed Ahmed : farukahmed Ahmed
  5. fojoluddin77@yahoo.com : MdFojluuddn Uddin : MdFojluuddn Uddin
  6. jssksngo@yahoo.com : Mist. Jahanara Jahanara : Mist. Jahanara Jahanara
  7. mafazzalali24@gmail.com : Mafazzal Ali : Mafazzal Ali
  8. somratmr71@gmail.com : Md somrat Md somrat : Md somrat Md somrat
রাজনৈতিক সংকটের সমাধান কোন পথে! - দৈনিক হ্যালো বাংলাদেশ
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ অপরাহ্ন

রাজনৈতিক সংকটের সমাধান কোন পথে!

দৈনিক হ্যালো বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • প্রকাশিত : রবিবার, ৯ জুলাই, ২০২৩
  • ১২৮ বার পঠিত

ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে এখনো বিপরীত মেরুতে দেশের প্রধান দুই দল-আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।

সংকট নিরসনে আলোচনা বা সংলাপের জোর দাবি জানিয়ে আসছেন দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাদের এক টেবিলে বসাতে প্রভাবশালী দেশের পক্ষ থেকেও পর্দার আড়ালে চলছে নানা তৎপরতা। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের কেউ কেউ প্রকাশ্যে দৌড়ঝাঁপও করছেন।

এ মাসেই বাংলাদেশ সফরে আসছে প্রভাবশালী একাধিক ডেলিগেট। এ পর্যায়ের তৎপরতার পরও রাজনৈতিক দলগুলোর একসঙ্গে বসার মনোভাবই এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তাদের মতে, বড় দুটি দল যার যার অবস্থানে অনড়। ছাড় দেওয়া তো দূরের কথা, একসঙ্গে না বসার ঘোষণাই দিয়ে বসে আছেন তারা। শিগগিরই সরকার পতনের একদফায় যাচ্ছে বিএনপি। তাদের মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীনরাও।

তাতে সামনের দিনে সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও বাড়ছে উৎকণ্ঠা। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের একটাই প্রশ্ন-তাহলে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান কোন পথে।

বিশ্লেষকদের মতে, শুধু রাজনীতি নয়, যে কোনো সংকট সমাধানের একমাত্র উপায় হচ্ছে আলোচনা বা সংলাপ। নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক সংকট জটিল হচ্ছে; কিন্তু তা সমাধানে দলগুলোর কোনো মাথাব্যথা নেই। অনেকে হয়তো বলবে, অতীতে কয়েকবার দলগুলো সংলাপ করলেও প্রত্যাশিত সমাধান আসেনি। তাই সংলাপ করে লাভ কী। অতীতে সফলতা আসেনি, এর মানে ভবিষ্যতেও আসবে না-এটা তো নিশ্চিত করে বলা যায় না।

তাছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো মুখে যা বলে, তা অনেকটাই তাদের আসল কথা নয়। তারা মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে সমাধানের মনোভাব নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। দুই পক্ষকে অনড় অবস্থান থেকে সরে এসে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। দলগুলো চাইলে সমাধান সম্ভব। আর সেটা একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব। সংলাপ ছাড়া সমাধানের বিকল্প উপায় হচ্ছে রাজপথ।

কিন্তু সংঘাত-সহিংসতা ছাড়া রাজপথে সমাধান সম্ভব নয়। রাজনীতি যদি রাজপথে চলে যায়, সেটা কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না। দেশের অর্থনীতি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে। যার প্রভাব পড়বে প্রতিটি সেক্টরে। রাজনৈতিক দলগুলোও এ প্রভাবের বাইরে থাকতে পারবে না।

জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, সংকট সমাধানে এখনো দুদলের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব দেখা যাচ্ছে না। যার যার অবস্থানে তারা অনড়। এতে দেশবাসীর মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়ছে।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের উদ্বেগ এবং দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে রাজনৈতিক দলগুলোকে ইতিবাচক রাজনীতি করতে হবে। সংকট সমাধানে বসতে হবে এক টেবিলে। তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলে আমরা আশাবাদী। সেটা না হলে যা হওয়ার তাই হবে। আবার রাজপথে মারামারি, হানাহানি শুরু হবে।

বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের প্রতি বিশ্বাস বা আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এ কারণে তারা একসঙ্গে বসতে পারছে না। কোনো দল ছাড় দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের মনোভাব দেখালেও অন্যদল সেটা নিয়ে সন্দেহ করবে।

তারা মনে করবে, সংকট সমাধানে এটা তাদের কৌশল। এক্ষেত্রে তৃতীয় কোনো পক্ষের মধ্যস্থতায় সংলাপের আয়োজন করা যেতে পারে। সমাধানের বিষয়টি লিখিত আকারে জাতিকে জানানো যেতে পারে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির সুযোগ না পায়। কোনো দল যাতে বলতে না পারে-সংলাপে আমরা এটা বলিনি বা প্রতিশ্রুতি দিইনি।

বর্তমান সংবিধানের আলোকেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কখনো ফিরে আসবে না। এমনকি এ নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে কোনো সংলাপও করবে না।

অন্যদিকে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলো এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি সেটা প্রতিহতের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তারা। রাজপথেই সবকিছুর ফয়সালা করতে মধ্য জুলাইয়ে সরকার পতনের একদফা ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে।

জানতে চাইলে বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক যুগান্তরকে বলেন, এ মুহূর্তে রাজনৈতিক সংকটের গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। বড় দুই দল তাদের অবস্থানে অনড়। কেউ ছাড় দেবে না। অনড় অবস্থান থেকে সরে এলে রাজনীতিতে তাদের প্রাথমিক পরাজয় হবে বলে মনে করছেন তারা। ধরুন, বিএনপির দাবি শেখ হাসিনার অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না। এখন যদি প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন তিনি পদত্যাগ করবেন, তাহলে কি আওয়ামী লীগের রাজনীতি থাকবে? এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তারা নির্বাচনে হেরে গেলেন বলেই দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হবে। তাহলে জেনেশুনে প্রধানমন্ত্রী কেন এ ঝুঁকি নেবেন। আবার ধরুন, বিএনপি নির্দলীয় সরকারের দাবি থেকে সরে এলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই থাকবেন আর মন্ত্রিসভায় বিএনপিসহ অন্য দলের নেতারা থাকলেন। নির্বাচনকালীন এমন সরকার হলে বর্তমান প্রশাসনসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা কার কথা শুনবে, প্রধানমন্ত্রীর নাকি বিএনপির মন্ত্রীদের। তাহলে বিএনপি কি জেনেশুনে আবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ করে দেবে? তাই যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলবে।

তিনি বলেন, সংলাপ যদিও হয় সমাধানের সম্ভাবনা কম। সমাধান না হলে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়বে। পাড়ায় পাড়ায় গড়ে উঠবে মাস্তান, যা আমাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে অশান্ত করে তুলবে। তাই দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে একটা সমঝোতার পথে আসতেই হবে।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ দৈনিক হ্যালো বাংলাদেশ © গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।
Theme Customized BY Daily Hello Bangladesh
Bengali BN English EN